--- বিজ্ঞাপন ---

ইরানে সোলেইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে নিহত ৫০, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফকে ভিসা দেয়নি আমেরিকা

0

ইরানের পারস ও ইসনা সংবাদ সংস্থা জানায়, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান শহীদ জেনারেল কাসেম সোলেইমানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার জন্মশহর কেরমানে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন। এ অবস্থায় শেষ শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে মারা গেছেন অন্তত ৫০ জন। আহত হয়েছেন আরও ২১৩ জন। ইরানের জাতীয় জরুরি চিকিৎসা সেবা সংস্থার প্রধান পির হোসেন কুলিবান্দ এসব তথ্য জানিয়েছেন। ভিড়ের কারণে শেষ শ্রদ্ধা ও দাফন অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সবাইকে ঘরে ফেরার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিবিসি ও রয়টার সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়,  নিহত সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির দাফনের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে আসা মানুষের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত: ৫০জন নিহত হন। এছাড়া ঐ ঘটনায় কেরমানে আরো ৪০ জন মানুষ আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে কাসেম সোলেইমানির দাফনে যোগ দিতে এবং তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার নিজ শহর কেরমানে শোকের প্রতীক কালো কাপড় পড়া কয়েক লক্ষ মানুষ মানুষ জড়ো হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয় সোলেইমানিকে। দক্ষিণ পূর্বের শহর কেরমানে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোলেইমানিকে দাফন করা হচ্ছে। এর আগে তেহরানে তার জানাজায় লাখো মানুষ সমবেত হয়েছিল।

ইতিমধ্যে এই হত্যার কঠিন প্রতিশোধ নেবার এবং রোববার ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানি ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বাড়ানোর  কাজের পেছনের প্রধান মানুষ ছিলেন। নিজ শহর কেরমানে সোলেইমানিকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয় এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে যোগ দিতে ভিসা দেয়নি আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে নাম প্রকাশে ইচ্ছুক এক সরকারী মুখপাত্র জানান, গত শুক্রবার ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রথম সারির কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনায় দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়্রেছে।   ঐ বৈঠকে তার ভিসা পাওয়া উচিৎ ছিল।

জাতিসংঘের ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের সদর দপ্তর চুক্তি মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মিটিং সমূহে যোগ দিতে বিদেশী কূটনীতিকদের ভিসা দিতে বাধ্য। কিন্তু ওয়াশিংটন বলছে, দেশটি নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও বৈদেশিক নীতি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অমিল রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ভিসা না দেওয়ার ব্যাপারটি তার দেশের নিজস্ব ইচ্ছার ব্যাপার। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। এ ভিসা না দেয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদে সোলেমানি হত্যার ব্যাপারে ইরানের জারিফ আমেরিকার প্রকাশ্য সমালোচনা করার ক্ষেত্র জোরদার করার সুযোগ পাবে বিধায় ভিসা দেয়া হয়নি বলে কূটনীতিক মহল মনে করছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের উপর নিষেধাজ্ঞা আনার কথা ভাবছে। ইরাকের পক্ষ থেকে  সেখানে অবস্থানরত আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের  দাবী জানানোর প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার করবেনা জানিয়েছে ।

## শহীদ, ০৭.০১.২০২০ ইং

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.