--- বিজ্ঞাপন ---

অবশেষে বাংলাদেশ ২ টেস্ট, ৩ টি-টুয়েন্টি ও ওয়ান ডে খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তানে !

0

স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তানে প্রথম ৩টি  টি-২০(টুয়েন্টি) ইন্টারন্যাশনাল  খেলবে ২৪ থেকে ২৭জানুয়ারীতে। তিনটি ধাপে বাংলাদেশের এ সফর । আইসিসি প্রথম ওয়াল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ এর ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ৭-১১ ফেব্রুয়ারীতে। এরপর ৩ এপ্রিল ১ম ওয়ান ডে এবং ২য় টেস্ট খেলবে ৫-৯ এপ্রিল। মঙ্গলবার বিকেলে দুবাইতে আইসিসি’র সভায় এ সফর চূড়ান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ও বিসিবি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পাকিস্তান সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল আগে থেকেই। নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে পাকিস্তান সফরকে সবসময় অনিরাপদ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। সফরকারী দলগুলোকে সন্ত্রাস আর বোমা হামলার আতঙ্কে থাকতে হয় সব সময়। তাই টাইগারদের পাকিস্তান সফর ছিল প্রায় অনিশ্চিত। কিন্তু এত সব বিতর্ক পেছনে ফেলে অবশেষে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভা থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। অবাক হয়েই পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট কূটনীতিতে হার! এটা কেন বলছে কোনো কারণই আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আমি জানিনা। আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে। আমরা প্রথম থেকে যেটা বলেছি সেটাই হয়েছে। আমার কাছে তেমনই মনে হচ্ছে।’

শুরুতে তিনটি টি-টোয়েন্টি আর দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে আগে যেখানে টেস্ট সিরিজ নয়, শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেলতেই আগ্রহী ছিল বাংলাদেশ, সেখানে নতুন সূচি অনুযায়ী টেস্টের পাশপাশি একটি ওয়ানডেও খেলতে হবে। কিন্তু এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান) অনুযায়ী, কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা ছিল না। তাহলে ওয়ানডে এলো কোথা থেকে? ক্রিকেট কূটনীতিতে বাংলাদেশ কি তবে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হলো, এমন প্রশ্নও উঠেছে। বিসিবি প্রধান  জোর দিয়ে দাবি করেন, পাকিস্তানের নয় বিসিবির ইচ্ছেই পূরণ হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেটা বলেছি আমার মনে হয় এটাই হয়েছে। আমি যেদিন প্রথম মিডিয়াতে বলেছি, এটাই বলেছি আমরা প্রথমে যাবো টি-টোয়েন্টি খেলতে। এরপর আমরা টেস্ট খেলবো।’

কেউ কেউ বলছেন, টেবিল টকে ঝানু এহসান মানির কথার মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছেন বিসিবি প্রধান। আবার কেই কেউ বলছেন, আইসিসি প্রধান শশাঙ্ক মনোহরের মধ্যস্ততায় এ চূড়ান্ত ফয়সালা হয়েছে।

আবার অন্য একটি কথাও শোনা যাচ্ছে। ক্রিকেট পাড়ায় একটি মহলে উচ্চারিত হয়েছে যে, ‘পাকিস্তানে তিনবার সফরের বিনিময়ে কোন নগদ কিছু না পেলেও হয়ত একটি অর্জন আছে বাংলাদেশের। তাহলো, খুব সম্ভবত আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে যে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেটা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এখন বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

জানা গেছে, সেখানে আইসিসি প্রধান শশাঙ্ক মনোহরের মধ্যস্থতায় বিসিবি আর পিসিবির পারস্পরিক সমঝোতায় হয়ত পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর বাংলাদেশে আয়োজনের একটা অলিখিত চুক্তি হয়েছে। কারণ একটাই, ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। সেটা এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপ- যাই হোক না কেন।

এখন ভারত ছাড়াতো আর এশিয়া কাপ হতে পারে না। এখন বাংলাদেশে খেলা হলেই কেবল ভারত অংশ নেবে এবং এশিয়া কাপ আয়োজনে কোন বাঁধা থাকবে না। তাই বাংলাদেশকে এ বছর সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেয়ার একটা অঘোষিত চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এদিকে এশিয়া কাপ আয়োজন করার অর্থ স্বাগতিক হিসেবে মিলবে ৩ মিলিয়ন ডলার (২৭ কোটি টাকার বেশি)।

সব মিলিয়ে এশিয়া কাপের স্বাগতিক হবার হাতছানি আছে বলেই পাকিস্তানের সব দাবি মেনে নিয়ে তিনবারে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত বলে শোনা যাচ্ছে।

## শহীদ, ১৫.০১.২০২০ইং।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.