--- বিজ্ঞাপন ---

যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন হলে সামরিক পদক্ষেপ নেবে তুরস্ক

0

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত যে চুক্তি গত সপ্তাহে রাশিয়ার সাথে সম্পাদিত হয়েছে, তা লঙ্ঘন করা হলে তুরস্ক আরো প্রচণ্ড সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। গতকাল পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। এরদোগান বলেন, যুদ্ধবিরতির ছোটখাটো লঙ্ঘন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তুরস্কের অগ্রাধিকার ১২টি পর্যবেক্ষণ চৌকির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান রাশিয়ায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠক করেন এবং ইদলিবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘোষণা দেন। এর পর থেকে সেখানে বড় ধরনের সঙ্ঘাত বন্ধ রয়েছে। দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমঝোতায় বলা হয়েছে, ইদলিব প্রদেশে যুদ্ধবিরতি তদারকি করার জন্য যৌথ পরিদর্শক দল কাজ করবে।

সিরিয়া ও তুরস্ক পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। উভয় দেশই বলেছে, ইদলিবে আংশিকভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি সিরিয়া এই অভিযোগ করায় গতকাল বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান একই অভিযোগ করে বলেছেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী আংশিকভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, রাশিয়াকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় অবস্থিত তুর্কি ঘাঁটিতে যেকোনো হামলার কঠোর জবাব দেয়া হবে। এরদোগান আরো বলেন, তুরস্কের পর্যবেক্ষণ পয়েন্টগুলোতে হামলা হলেই পাল্টা হামলার মুখে পড়বে সিরিয়ার বাহিনী। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা যুদ্ধবিরতি লাইনের কাছাকাছি এলাকায় কঠোর পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে সিরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইদলিবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ইদলিব হচ্ছে সিরিয়ার অবিচ্ছেদ্য ভূখণ্ড।

তা ছাড়া সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইদলিবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হলে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জেমস জেফরি মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের সদর দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্কের সমর্থনে ইদলিবে পদাতিক বাহিনী পাঠাবে না ন্যাটো; তবে প্রয়োজনে বিমান সহযোগিতা দেয়া হবে। জেফরি দাবি করেন, সিরিয়া ও রাশিয়া ইদলিবে যুদ্ধবিরতি বলবৎ রাখতে চায় না। মার্কিন এই বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, সিরিয়া ও রাশিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে চাইলে আমেরিকা তার মিত্রদের নিয়ে যেসব ব্যবস্থা নিতে পারে তার একটি হচ্ছে, দামেস্ক ও মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। সূত্র : রয়টার্স

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.