--- বিজ্ঞাপন ---

বাংলাদেশ যেভাবে সামলাচ্ছে করোনা

0

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু এবং ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকা‌তে ইতিমধ্যে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে জনসাধারণের সুবিধার্থে কাঁচাবাজার, ফার্মেসি, হাসপাতাল, মুদি মালের দোকান ও অতি জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

শিল্পসচিব আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে খাদ্যপণ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তবে অবশ্যই খোলা রাখার সময় করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শতভাগ সতর্কামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ বা ছাড় দেয়া যাবে না।

এদিকে গতকাল বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ২৪ মার্চ প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির ৪ নম্বর নির্দেশনা অনুসারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে ওষুধ/খাদ্য প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্প কারখানা/প্রতিষ্ঠান/বাজার/দোকানপাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানিয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণিবিতান বা শপিং মল বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, ওষুধের দোকার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এ সময়ে শপিং মল, দোকানপাট, রাস্তার পাশের চা দোকান, সেলুন, হোটেল-রেস্তোরাঁ ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।

পরিবহনের ক্ষেত্রে ওষুধ, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান সড়কে চলবে। এছাড়া সাধারণ ছুটির সময়ে ব্যাংক খোলা থাকলেও লেনদেন হবে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এর মধ্য ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি। এর আগে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ও পরে ২৭ ও ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি এ ছুটির সঙ্গে যোগ হবে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.