--- বিজ্ঞাপন ---

সারা গায়ে রক্ত মাখানো সিরিয়ার সেই শিশুটির কথা কি সৃষ্টিকর্তা শুনেছেন?

0

আমেরিকাতে মৃত্যুর মিছিল, ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল, স্পেনে মৃত্যুর মিছিল, বৃটেনে -ফ্রান্সে মৃত্যুর মিছিল। গোটা পৃথিবী যেন লাশের একটি শহর। সারাবিশ্বের মানুষের এক একটি দিন যেন এক একটি বছর। অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে। হয়তো পৃথিবীও বদলে যাবে। মানুষ কি বদলাবে?

সারা গায়ে রক্ত মাখানো তিন বছরের সিরিয়ার শিশুটি যখন বলেছিল” আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো” তখন আমার বুকটা কেঁপে উঠেছিল। কোথায় যেন পড়েছিলাম, “মানুষ ছাড়া পৃথিবীতে আর যত প্রাণী আছে তারা সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে মানুষের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে।”
বছরের পর বছর ধরে আমরা মানুষরা ধ্বংস করে যাচ্ছি পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্টিগুলোকে। যাদের বাসস্থানও এ পৃথিবীতে। বোমা -মারণাস্ত্র দিয়ে আমরা মানুষরাই মানুষদের মারছি । পাশাপাশি অন্যান্য প্রানীকূলও রক্ষা পাচ্ছে না মানুষের হাত থেকে।মানুষের অহংকার, অহমিকা এমন পর্যায়ে গেছে যা বলা বাহুল্য। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অহংকারে আমরা ভুলে গেছি মহান সৃষ্টিকর্তাকে। যিনি এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলে খেতাব দিয়েছেন। এই মানুষদের পাশাপাশি পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করতে আরো অনেক কিছুই সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা মানুষরাই সবকিছু নষ্ট করছি,ধ্বংস করে চলেছি। হয়তো তারই পরিণাম ভোগ করছে বর্তমান বিশ্ব। এ কি অবস্থা।

যুগ যুগ ধরে ধনী রাষ্ট্রগুলো মানুষ মারার যাবতীয় অস্ত্র, পরমাণু অস্ত্র, জীবাণু অস্ত্র বানাতে ব্যস্ত। সারা পৃথিবী মারণাস্ত্রের কারখানাতে পরিণত হয়েছে। মানুষকে বাঁচানোর চেয়ে মানুষ মারার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল ইউরোপের দেশগুলো। বিজ্ঞানীরা হয়তো ভুলে গিয়েছিল মানুষকে বাঁচানোর ফর্মুলা কি। বিজ্ঞান ব্যবহার হচ্ছে ধ্বংসের কাজে। আগেকার বিজ্ঞানীরা মানুষকে কিভাবে রোগ থেকে রক্ষা করা যায়, দীর্ঘদিন বাঁচানো যায় তার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটেয়েছিল। মানুষের শরীর নিয়ে গবেষণার চেয়ে এখন আমরা হাইড্রোজেন বোমা, পরমাণু বোমা, ড্রোনবোমা বানাতে ব্যস্ত। সারাবিশ্বে অস্ত্র বাণিজ্যে কে প্রধান হতে পারে, কোন দেশ এক্ষেত্রে সমৃদ্ধশালি তা নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। আর এসব কিছুই বানাচ্ছি মানুষ মারার জন্য। আজকের বিশ্বমোড়লরা সকালে উঠে মিটিংয়ে বসেন কোথায় কার কাছে কি অস্ত্র বেঁচা যাবে, কত কোটি ডলার বাণিজ্য হবে এসব আলোচনায়। তারা কখনো চিন্তা করেননি “তাদের জীবন কার হাতে, তাদের বাঁচাবে কে?”। মনে হচ্ছে,যারা বোমা মারণাস্ত্র দিয়ে মানুষ মারছে, তাদের মারার সামান্যতম উপসর্গ “করোনা ভাইরাস”। এ ভাইরাসটি মানুষের সৃষ্টি কিনা তা নিয়ে চিন্তা করার সময়ও এখন বিশ্বমোড়লরা পাচ্ছে না।

এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন বিশ্বমোড়লরা মুখ কালো করে নিজেদের কথা চিন্তা করছে। এখন কোন কোন রাষ্ট্রনায়ক অসহায় হয়ে আকাশের দিকে তাকাচ্ছে। নিজের দেশের মানুষকে বাঁচাতে পারছেনা। তাদের অসহায় লাগছে সবকিছু। অথচ সিরিয়ায় যখন তিন বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে বলে” আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো”…এই করুণ আর্তনাদ তখন তাদের কানে ঢোকে না। মনে হচ্ছে, সারা গায়ে রক্ত মাখানো ছোট্ট এ মেয়েটির করুন আর্তনাদই সৃষ্টিকর্তা শুনেছেন….

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.