--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্ব মিডিয়ায়  কোরিয়া বন্দনা

0
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয়  নির্বাচন শুধু  কোরিয়ার জন্য  নয়,বিশ্বের জন্য একটি বড় মাইল ফলক,  চীনের পর কোরিয়াকে করোনা এপিসেন্টার  হিসেবে ধরা হয়েছিল,সবকিছু  নিয়ন্ত্রণে এনে, জাতীয়ভাবে নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনার জন্য কোভিড১৯  হটস্পটের   প্রথম নির্বাচন হিসাবে বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছে।
 নির্বাচনের এই আয়োজনে সংক্রমণের আশঙ্কা সত্ত্বেও, কোরিয়া বুধবারের নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়নি যেমনটি ফ্রান্স, রাশিয়া এবং কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলির ক্ষেত্রে ঘটেছিল ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ কোনও নির্বাচন স্থগিত করতে করেনি, যা দেশটি কোরিয়ান যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন নিয়মিত করেছে। সর্বোপরি, এই নির্বাচনে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ছিল যযথেষ্ট   ভোটার উপস্থিতি ৬৬.২ শতাংশ, যা ২৮ বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের সর্বোচ্চ।

 বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মুন যে -ইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ব বিস্ময় প্রকাশ করছে। জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা ও অংশগ্রহনের কারণে আমরা মহামারীর মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছি। জনগণ সুশৃঙ্খলভাবে ভোটিংয়ে অংশ নিয়েছে এবং যারা আইসোলেশনে ছিল তারাও ভোট দিতে পেরেছে। এটি  অলৌকিক ব্যাপার এবং রেকর্ড।
অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে অপ্রত্যাশিতভাবে বেশি ভোটগ্রহণকে গণতন্ত্রের প্রতি কোরিয়ানদের প্রতিশ্রুতি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।  ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কোরিয়ানরা কয়েক দশক স্বৈরাচারী শাসনের পরে নির্বাচনকে “প্রয়োজনীয়” হিসাবে দেখছে। বিদেশী পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমও নিরাপদ নির্বাচনের প্রচারের জন্য কোরিয়াকে একটি মডেল বলছে।  ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সম্পাদকীয় ছাপা হয়েছে, যার শিরোনাম ছিল “সুষ্ঠু নির্বাচন না করে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র দুর্বল হবে। দক্ষিণ কোরিয়া দেখিয়ে দিল   তারা সব  সম্ভব করেই বিশেষত, বিভিন্ন প্রতিবেদন মহামারীর মধ্যে নিরাপদ নির্বাচনের জন্য কোরিয়ার প্রস্তুতির প্রশংসা করছে।
 কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশন ব্যালটে সুরক্ষার জন্য যেমন পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করেছে, যেমন ভোটাররা মাস্কএবং প্লাস্টিকের গ্লাভস পরেন, তাদের তাপমাত্রা গ্রহণ করেন এবং ভোটকেন্দ্রগুলিতে প্রবেশের জন্য দাঁড়ালে ভোটারদের মধ্যে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখেন।  রাষ্ট্রপতি মুন ১০ই এপ্রিল, প্রথম দিকে ভোটদানে অংশ নেওয়ার সময় একই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
 কোভিড -১৯ এবং সংশ্লেষিত লোকেরা যদি এর জন্য আগে রেজিস্ট্রেশন করে তবে তারা মেইলে ভোট দেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল এবং স্ব-সঙ্গতিতে থাকা অন্যদের ভোটারদের বাকী থেকে আলাদা সময় স্লটে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।  এই সাবধানী ব্যবস্থাগুলি সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত হ্রাসের পাশাপাশি কোরিয়ানদের আশ্বাস দিয়েছে যে  ভোট দেওয়া নিরাপদ ও গণতন্ত্রের জন্য সুখকর।
 ভোটদানের বয়স সম্পর্কে নির্বাচনী আইন সংশোধনীর পরে ১৮ বছর বয়সীদের পক্ষেও প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়া হয়েছিল।
 যুক্তরাষ্ট্র  কোরিয়াকে সুন্দর  নির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।   যুক্তরাষ্ট্র প্রজাতন্ত্র কোরিয়াকে সফল আইনসভা নির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাইছে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর সামনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি কোরিয়ার উৎসর্গ এবং একটি সত্যিকারের , উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ সমাজের বৈশিষ্ট্য – এমন গুণাবলী যা প্রয়োজনীয়  প্রজাতন্ত্র কোরিয়ার কোভিড১৯  এর সফল পরিচালনার মূল চাবিকাঠি এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের জন্য একটি মডেল বলে উল্লেখ করেন  “মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে। তিনি এক বিবৃতিতে  এটি জানিয়েছেন।উল্লেখ্য  এই নির্বাচনে অনেক বাংলাদেশী  কোরিয়ান  তাদের ভোটাধিকার  প্রয়োগ করেছেন ।সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমে  অনেক বাংলাদেশী  ভোট দিতে পেরে উচ্চসিত পোষ্ট করতে দেখা যায়, ফরিদ হান লিখেছেন, আজ কোরিয়ার ২১ তম  জাতীয়  নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুব খুশি লাগছে।আরেক বাংলাদেশী  ব্যবসায়ী  তাজুল ইসলাম টনি লিখেন,আমি কোরিয়ার জীবনে চতুর্থবারের মত ভোট দিলাম। এম এন ইসলাম একজন আইটি বিশারদ তিনি
ফেসবুকে  লিখেছেন, কোরিয়াতে চলছে, পার্লামেন্ট ভোট ! 
 করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় (প্রথম দিকে) প্রথম সারির দিকে থাকলেও .. অতি তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার সফলতায় সরকারী দল সুবিধা থাকলেও কিন্ত কোন বিরোধীদল ভোট পিছাতে বলেনি !
প্রযুক্তির দেশে ভোটিং ম্যানুয়ালি হচ্ছ্ (মানে সিল মারা ) কিন্ত প্রযুক্তির  ব্যবহারের কিভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত  ভোট ও দ্রুততার সাথে হচ্ছে সেটা নিয়ে অন্য কোন পোষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো ..তিনি আরো লিখেছেন,সোশ্যাল ডিসট্যান্স রেখে মাস্ক আর গ্লাভস পরে ভোট দান করছে ভোটারেরা।
আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.