--- বিজ্ঞাপন ---

জনগণ সতর্ক থাকলে করোনা ভাইরাস বেশিদিন থাকবে না অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম

0

করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সাফল্য বিষয়ে E plus Tv কে সাক্ষাতকার দিচ্ছেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি, হোমিও চেতনা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে কিছু উপদেশ দিলেন। তিনি বললেন, জনগণ সতর্ক থাকলে করোনা ভাইরাস বেশিদিন থাকবে না। এটি সম্প্রচার করেছে ই প্লাস টিভি। আপনি একজন ভালো কেমিস্ট, আপনি একজন বিশেষজ্ঞ, করোনার যে ভয়াবহ বাংলাদেশের মধ্যে, ওয়ার্ল্ডের মধ্যে, এটা নিয়ে আপনাদের এখানে রোগীটোগি আসে কিনা। এ ধরণের রোগী  জ্বরটর নিয়ে আসলে আপনারা কি ধরণের সেবা করছেন?

আমাদের হোমিওপ্যাথি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি, এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমরা লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা দিচ্ছি। আমাদের কাছে করোনা বা অন্য কোন নাম বা কোন নাম এখনো হয় নাই এর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। আমরা লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা দিই। আমরা এটা করোনা বা করোনা না এটার উপর ভিত্তি করে ওষুধ দিই না। আমাদের ওষুধের সিস্টেমই হচ্ছে লক্ষণ। আমরা দেখতেছি যে, আমাদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করোনা হোক বা যে কোন চিকিৎসা বলেন খুব ভাল কাজ করে।

আমি উদাহরণ স্বরূপ একটা কথা বলতেছি আপনাকে, আমার ছেলে থাকে লন্ডনে, তার সাথে তার একটা বন্ধু থাকে, দুজনের ফ্যামিলিসহ থাকে, একই ফ্ল্যাটে। তো আমার ছেলে ফোন করে আমাকে বললো, আমার সাথের ঐ লোক হসপিটালে কাজ করে, সে জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, বুকব্যথা, মাথাব্যথা নিয়ে আসছে। আসার পর আস্তে আস্তে আমাদের সবার এক একজনের ধরে একই সিম্পটম দেখা গেছে। কিন্তু সে যে হসপিটালে অলরেডি তার পরীক্ষার জন্য দিয়েছে, তো পরীক্ষা ফল আসার আগে আমাদের মধ্যে একই ডিজিস দেখা গেছে। তো আমি বললাম, যে উনি পরীক্ষা করে রেজাল্ট আসে নাই? বলে রেজাল্ট আসে নাই। আমি বলছি তোমার কাছে যে আমি যখন গেছিলাম, ওষুধ কতগুলো দিয়েছি, ওখানে একোনাইট আছে কিনা দেখ, একোনাইট আমাদের একটা  আতঙ্কের কারণে যে কোন ব্যাপার হোক বা হঠাৎ করে হলে আমরা একোনাইট দি। ও তালাশ করে বললো একোনাইট নাই। যেহেতু সে গলা ব্যথা, ঢোক গিলতে সময় ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি যখন বলছে এ লক্ষণগুলোর সাথে মিলায়ে আর কোন ওষুধ আছে আমি খেয়াল করে হিপার সালফ আছে কিনা দেখ, তালাশ করে দেখছে হিপার সালফ আছে। তো আমি বলছি, একটা পিল চার আউন্স বোতলের পানির মধ্যে দিয়ে ঝাঁকি দিয়ে তোমারা সবাই খাও।

আল্লার রহমতে সবাই ভালো। আর ইতিমধ্যে পরীক্ষার রেজাল্ট আসছে, আর দেখা গেছে প্রথম যে ব্যক্তির হয়েছিল তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাইছে। বুঝা যাচ্ছে যে, আস্তে আস্তে তাদের মধ্যেও এটা বিস্তার করছিল, ওষুধের দ্বারা তা ভালো হয়ে গেছে। এখন আমাদের এখানে এ ধরণের লক্ষণের যত রোগী আসছে সবগুলো আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আর এর আগে আর্সেনিক এলব কেরেলাতে খুব ভালো কাজ করতেছে বলে দেখা গেছে দক্ষিণ ভারতের কেরেলাতে। সেখানের এ ওষুধ ভালো বলে, বিজৈনের ওষুধ আর্সেনিক এলব ৩০ প্রতিষেধক হিসাবে ভালো কাজ করতেছে বলে ইত্তেফাক পত্রিকাতেও এসেছে। সে হিসাবে আর্সেনিক এলবও এটার জন্য ভালো কাজ করার সম্ভাবনা আছে। আমরা প্রাইমারি চিকিৎসা দিচ্ছি, যেটাই করার আছে আমরা লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিচ্ছি। সারা বাংলাদেশে সমস্ত হোমিও চিকিৎসকরা গ্রামে গঞ্জে অলিতে গলিতে বসার কারণেই আজকে করোনা বিস্তার কম হচ্ছে। কিন্তু আমাদের যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের তুলনামুলকভাবে গুরুত্ব কম দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য চিকিৎসকদের প্যাকেজ প্রোগ্রামের মধ্যে আমাদের হোমিও চিকিৎসকদেরকেও আন্তর্ভূক্ত করা খুবই জরুরী বলে আমি মনে করছি। তাহলেই হোমিওপ্যাথি উৎসাহিত হবে, চিকিৎসা বেশি প্রচার পাবে, হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে বেশি উপকৃত হবে এটাই আমার কথা।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.