মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম: করোনার এই দু:সময়ের সুযোগ তৎপর হয়েছিল তেল চোরাকারবারীরা। পালাতে গিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি ২ চোরাকারবারীর । পবিত্র এই রমজানে হাজী নামধারী ব্যক্তির নেতৃত্বে এহেন দুষ্কর্ম দেখে র্যাব-৭ এর সদস্যরাও অবাক হয়ে যান। রাস্তায় ওৎ পেতে র্যাবের চেকপোস্টে চোরাকারবারীরা ধরা পড়ে। মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন শুকলবহর এলাকায় চোরাইকৃত ১১ হাজার ৯৪০ লিটার ফার্নেস অয়েল তেল উদ্ধার করা হয়। সাথে সাথে ২ জন চোরাকারবারীকেও আটক করতে সক্ষম হয় র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র্যাব-৭ ।
র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন বাংলাদেশের সংবাদকে বলেন, চোরাইপথে চোরাচালানকৃত ফার্নেস ওয়েল ট্যাংক ভর্তি লরি ঢাকার দিকে যাচ্ছে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে খবরটি পায়। পরপরই র্যাব-৭ এর একটি দল গত ১৪ মে আড়াইটার সময় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন শুকলবহর এলাকায় ডাচ-বাংলা ফাস্ট ট্র্যাকের সামনে বহদ্দারহাট টু মুরাদপুরমুখী রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করতে থাকে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি ট্যাংক লরি থেকে ২ ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে হাজী মোঃ আনছার আহাম্মদ (৪৭), পিতা- মৃত শহর আলী, গ্রাম- শিকলবাহা (তাতিয়া পুকুরপাড়), থানা- কর্ণফূলী, জেলা- চট্টগ্রাম এবং মোঃ নাছির উদ্দিন (৩৮), পিতা- মৃত আঃ সোবাহান, গ্রাম- কচনগর, (হাজরা বাপের বাড়ি), থানা- কর্ণফূলী, জেলা- চট্টগ্রাম’কে র্যাব সদস্যরা আটক করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো ও সনাক্ত মতে ট্যাংক লরি হতে ১১ হাহার ৯৪০ লিটার চোরাইকৃত ফার্নেস অয়েল তেল উদ্ধার করা হয় ।
র্যাব জানায়, উক্ত ট্যাংক লরি (নেত্রকোণা-ঢ-৪১-০০২৩) জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত চোরাইকৃত ফার্নেস অয়েল তেল এর আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত ট্যাংক লরির আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত তেলও লরি পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-৭ জানায়।
##