--- বিজ্ঞাপন ---

সংকটকালে অনলাইন বিতর্ক মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক’

0

কমার্স কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি’র অনলাইনে ঈদ আয়োজনে বক্তারা-

ঈদের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের বিতর্ক সংগঠন কমার্স কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি(সিসিডিএস) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ আনন্দে বিতর্ক আড্ডা। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন আতঙ্কের সংবাদ ছড়াছড়ি তখন এক পশলা ভিন্নমাত্রার আবহ তৈরি করে এই আয়োজন। ঈদের পরের দিন বিকাল সাড়ে তিনটায় কমার্স কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির ফেসবুক পেইজে সরাসরি সম্প্রচার হয় অনুষ্ঠানমালা। ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ও ক্লাব সদস্য বাবলু চক্রবর্তীর কন্ঠে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপরই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাঁশি কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে এই কঠিন সময়ে সংগ্রামের প্রত্যয় তুলে আনেন ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ও ক্লাব সদস্য নওশীন শাহেরী।

মূল আকর্ষণ ছিল এই সংসদ মনে করে, ‘বিয়ে একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান’ এই শিরোনামে রম্য ধাচের সংসদীয় বিতর্কে অংশ নেন কলেজের পাঁচ প্রাক্তন ছাত্র। দীর্ঘসময় আগে কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে গুগল মিটে সংযুক্ত হয়ে যেন ফিরে পান তাদের সেই পুরানো সময়গুলো। ছায়া সাংসদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সাবেক বিতার্কিক ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী এস এম এহতেশামুল ইসলাম রিশতা, মন্ত্রী ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ফোরামের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও ব্যাংক কর্মকর্তা নাজমুল আলম সজিব, সাংসদ হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিতার্কিক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গাজী মূয়ীদুর রহমান নয়ন। অপরদিকে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও ব্র্যাকের উর্ধতন মানবসম্পদ কর্মকর্তা জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী কৌশিক, উপনেতা ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সম্পাদক মার্সেল অনিক হালদার, সাংসদ ছিলেন সিসিডিএস সেক্রেটারি মো. তৌফিকুর রহমান। সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি ও ব্যাংক কর্মকর্তা হিমেল দে শুভ।

সিসিডিএসের রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস সেক্রেটারি শাফিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিসিডিএসের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট তাওহীদুল কবির, সাবেক সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন সোহাগ, সিসিডিএসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট তাসফিয়া আক্তার অনন্যা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আর্সেল আজিম মোহন, মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন সেক্রেটারি কাজী মাইনুদ্দীন মাহিন। কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি সৈয়দা মারজানা ইউসুফ নীতি ও সদস্য শাহজাদা শুভ।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আয়োজন কঠিন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”

বিতর্ক শেষে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ও ক্লাবের সহসম্পাদক পূজা বড়ুয়া’র ও বাবলু’র কন্ঠে একে একে পরিবেশিত হয় আজ ‘দুঃখ ভোলার দিন’, ‘আমি তোমাকে বলে দেবো’, ‘আলগা করো গো খোপার বাঁধন’। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘কইলজের ভিতর বাধি রাইখুম তোঁয়ারে গান’ দিয়ে সমাপ্ত হয় দুই ঘন্টাব্যাপী ভিন্নমাত্রার ভার্চুয়াল ঈদ আনন্দ আয়োজন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.