--- বিজ্ঞাপন ---

আর ‘লর্ড’ বলা যাবেনা কলকাতার হাইকোর্টে

0

আর ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ নয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের এবার থেকে ‘স্যার’ বলেই সম্বোধন করা যাবে। গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন নির্দেশে এমনই এক নির্দেশনা জারি করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়।

নির্দেশটি পশ্চিমবঙ্গের সব জেলা জজ ও জেলা দায়রা আদালতগুলোতে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে ‘মাই লর্ডের’ বদলে ‘স্যার’ ব্যবহার করা যাবে। সম্বোধনের ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির মানসিকতার পরিবর্তে এবার ‘মাই লর্ড’, ‘ইয়োর অনার’ বা ‘লর্ডশিপের’ বদলে ‘স্যার’ বলা যাবে।

কলকাতার বর্ষীয়ান আইনজীবী ও প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র বলেন, ‘প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা প্রধান বিচারপতির। ‘‘মাই লর্ড’’ সম্বোধনের মধ্যে কোথাও একটা পরাধীনতার বোধ অনুভূত হয়। ব্রিটিশরা চলে গেলেও তাদের চাপিয়ে দেওয়া অভ্যাস এখনও বয়ে নিয়ে চলার কোনো কারণ নেই। আইনজীবীদেরও ‘‘স্যার’’ সম্বোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত।’

ভারতের সংবাদমাধ্যম এই সময়-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতার আইনজীবীরা। যেখানে মূলত আইনজীবীদেরই মামলার শুনানিতে প্রতিনিয়ত বিচারপতিদের ‘‘মাই লর্ড’’ বলে সম্বোধন করতে হয়, সেখানে তাদের বিষয়ে কেন কিছু বলা হলো না বিজ্ঞপ্তিতে- তা জানতে চেয়েছেন আইনজীবীরা।

‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ বাতিলের দাবি নিয়ে এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা হয়েছিল।

মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের (এখন তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে রয়েছেন) ডিভিশন বেঞ্চ এক রায়ে বলেছিলেন, বিচারপতিদের ‘লর্ড’, ‘লর্ডশিপ’ বা ‘ইয়োর অনার’ বলে সম্বোধন বাধ্যতামূলক নয়। বিচারপতিদের সম্মান জানাতে স্যার বলা যেতে পারে।

এই রায়ের পর রাজস্থান হাইকোর্ট গত বছর এক সিদ্ধান্ত নেয়। ওই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের উদ্যোগে ফুল কোর্টের বৈঠকে বিচারপতিদের স্যার সম্বোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.