--- বিজ্ঞাপন ---

আকাশ পথে ইরানের যাত্রীবাহী বিমানের পাশে সিরিয় জঙ্গি বিমানের মহড়া

0

সিরিয়ার আকাশে ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানের কাছে বিপজ্জনক মহড়া চালিয়েছে দু’টি শত্রু জঙ্গিবিমান। কোনো কোনো সূত্র যুদ্ধবিমান দু’টিকে আমেরিকার বলে উল্লেখ করলেও অন্য সূত্র বলেছে, জঙ্গিবিমানগুলো ছিল ইহুদিবাদী ইসরাইলের।

সংবাদ সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরানের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ‘মাহান এয়ার’র একটি যাত্রীবাহী বিমান বৃহস্পতিবার দুপুরের পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উদ্দেশে তেহরান ত্যাগ করে।

সন্ধ্যার দিকে বিমানটি সিরিয়ার অত্যন্ত কৌশলগত এলাকা ‘তাল আন্‌ফ’র আকাশে পৌঁছালে দু’টি শত্রু যুদ্ধবিমান ইরানি যাত্রীবাহী বিমানটির চারপাশে বিপজ্জনক মহড়া চালায়।এ অবস্থায় জঙ্গিবিমানের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে ইরানি পাইলট হঠাৎ করে যাত্রীবাহী বিমানের উচ্চতা কমিয়ে এটিকে নিচে নামিয়ে আনেন।

এ সময় সিট বেল্ট বাধা না থাকা অপ্রস্তুত কয়েকজন যাত্রী আহত হন। বিমানটিতে থাকা আইআরআইবি’র একজন সংবাদদাতার পাঠানো ভিডিও ক্লিপে একজন বয়স্ক যাত্রীকে বিমানের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বিমানে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিবিমানগুলো এক পর্যায়ে তাদের বিমানের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছিল।

বিপজ্জনক মহড়া চালানো যুদ্ধবিমান দু’টির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। মাহান এয়ারের পাইলট বলেছেন, জঙ্গিবিমান দু’টি ছিল আমেরিকার। তবে বিমানে থাকা আইআরআইবি’র সংবাদদাতা বলেছেন, জঙ্গিবিমানগুলোকে তার কাছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বলে মনে হয়েছে।

সিরিয়া সরকারের বিনা অনুমতিতে দেশটিতে সেনা ও জঙ্গিবিমান মোতায়েন করে রেখেছে আমেরিকা। এ ছাড়া, সিরিয়ায় বিদেশি মদদে চাপিয়ে দেয়া সহিংসতার সুযোগে ইসরাইলি জঙ্গিবিমান প্রায়ই দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে।

কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গিবিমানগুলো সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উসকানি দিয়ে ইরানের যাত্রীবাহী বিমানটির পেছনে লুকিয়ে ছিল যাতে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইরানি বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

কিন্তু সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইরানের যাত্রীবাহী বিমানটি নিরাপদে বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। #পার্সটুডে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.