--- বিজ্ঞাপন ---

মাক্স বাধ্যতামূলক, বলছেন মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পলেছি

0

মাস্ক না পরলে সেখানকার নির্বাচিত সদস্য এবং কর্মীদের বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পেলসি।

নিম্নকক্ষের ‘চেম্বারে’ সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে অধিবেশনে অংশ নিতে হবে। সেখানের কর্মরত সকল কর্মীকেও মাস্ক পরতে হবে।

নিয়ম ভঙ্গ করলে এমনকি শাস্তি হিসেবে সেখান থেকে বের করে দেয়া হতে পারে

যা বলেছেন হাউস স্পিকার

টেক্সাস থেকে নির্বাচিত লুই গোমার্ট নিয়মিত মাস্কবিহীন ঘোরাঘুরি করেন। বুধবার তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরই স্পিকার পেলোসি এমন নিয়ম ঘোষণা করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের একজন ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, নিম্নকক্ষে উপস্থিত অন্যদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সবাইকে মাস্ক পরার এই নিয়মকে সম্মান করতে হবে।

কোনো বক্তব্য দেবার সময়ই শুধুমাত্র সদস্যরা মাস্ক খুলতে পারবেন।

তিনি বলেছেন, কেউ যদি মাস্ক পরতে ব্যর্থ হন তবে তিনি নিম্নকক্ষের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন, সেভাবেই বিষয়টিকে তিনি দেখবেন।

কংগ্রেসে ইতোমধ্যেই সাতজন রিপাবলিকান ও তিনজন ডেমোক্র্যাট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে আসছেন, মুখে সঠিকভাবে মাস্ক পরলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক কম থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাস্ক বিতর্ক

কিন্তু তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে মাস্ক একটি বিতর্কের বিষয়। মাস্কবিরোধী হিসেবে এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রকাশ্য মাস্ক না পরে ঘুরে বেড়ানো, মাস্ক কোন কাজ করে না এমন টুইট করা, মাস্কবিহীন চিকিৎসকের প্রশংসা করা এরকম নানাভাবে তিনি এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।

ন্যান্সি পেলোসি উল্টো অবস্থান নিয়ে সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছেন। তাকে নানা রঙের মাস্ক পরা ছবিতে দেখা গেছে।

মাস্কবিহীন অবস্থানের জন্য লুই গোমার্টও বেশ আলোচিত হয়েছেন।

বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার টেক্সাস সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তার অংশ হিসেবে নিয়মিত নমুনা পরীক্ষা করার পর তিনি পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

আটবার নির্বাচিত গোমার্ট অন্য আরো অনেক রিপাবলিকানদের মতো মাস্ক পরতেন না। এমনকি অধিবেশন চলাকালীন তারা নিয়মিত মাস্ক পরিহার করেছেন।

তবে আক্রান্ত হওয়ার পর ৬৬ বছর বয়স্ক কংগ্রেসম্যান বলেছেন মাস্ক না পরাটাই তার আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী কিনা।

শনাক্ত হওয়ার একদিন আগে মঙ্গলবারই অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ও তাকে মাস্কবিহীন অবস্থায় খুব কাছাকাছি বসে কথা বলতে দেখা গেছে।

এখন বারকেও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সম্প্রতি মাস্ক পরতে দেখা গেছে। #বিবিসি

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.