--- বিজ্ঞাপন ---

জ্বলছে বৈরুত, ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত

0

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পাওে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছেন আরো তিন হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে। বিস্ফোরণে বহু ঘরবাড়ি ও গাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
লেবাননের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বলেছেন অত্যন্ত বিস্ফোরক রাসয়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন গুদামে ছয় বছর ধরে মজুত রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এক ট্ইুট বার্তায় বলেছেন কোন গুদামে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক অনিরাপদভাবে মজুত রাখার বিষয়টি “অগ্রহণযোগ্য”।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে ধ্বংসস্তুপের নিচে মানুষকে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন বিস্ফোরণের আওয়াজ ছিল তীব্র ও কান ফাটানো। ভিডিও ফুটেজে অনেক গাড়ি এবং ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেখা গেছে।

বন্দর এলাকা থেকে পাওয়া ভিডিওতে প্রথম বিস্ফোরণ স্থল থেকে ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠতে দেখা যায়। টুইটারে অনেকে মোবাইল ফোনে তোলা প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ভিডিও শেয়ার করেন।
টুইটারে পোস্ট করা এই ভিডিওর সাথে বলা হয়, তারা বিস্ফোরণ স্থল থেকে ১০ কিমি দূরে থাকেন এবং বিস্ফোরণে তাদের ভবনের কাঁচ ভেঙে গেছে।

প্রথম বিস্ফোরণের পর আরেকটি আরো বড় বিস্ফোরণের ধোঁয়ায় আশপাশের ভবনগুলো ঢেকে যেতে দেখা যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল যে তার মনে হয়েছিল তিনি মারা যাবেন।
হাসপাতাল আহতদের ভিড় উপচে পড়েছে বলে বলা হচ্ছে।

বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন নিকটবর্তী হাসপাতালে এত আহত মানুষকে আনা হয়েছে যে সেখানে স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না।
দমকল কর্মীরা অনেকগুলো আগুন নেভাতে হিমশিম খেয়েছে। প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সভাপতিত্বে সুপ্রিম ডিফেন্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক হয়েছে এবং সরকারকে রাজধানী বৈরুতে দু সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।

এই বিস্ফোরণ ঘটেছে একটা স্পর্শকাতর সময়ে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাফিক হারিরিকে ২০০৫ সালে হত্যা মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে এ সপ্তাহেই।

গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে হারিরির হত্যায় চারজন সন্দেহভাজনের মামলার রায় জাতিসঙ্ঘের একটি ট্রাইব্যুনালের দেবার কথা শুক্রবার। #বিবিসি ও আলজাজিরা

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.