--- বিজ্ঞাপন ---

বাংঙ্গালী ইহুদী থেকে সাবধান

0

কাজী ফেরদৌস :

আন্তর্জাতিক ইহুদি চক্রের অতি পুরাতন ঘাঁটি হলো বৃটেন তথা লন্ডন। ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ইহুদিদের অমানুষ সুদখোর মনে করা হতো। ওদের মধ্যে কোন মানবিক গুণাবলি আছে বলে মনে করা হতো না।ওদের সাধারন মানুষ ঘৃণা করত।ষোড়ষ শতকে রচিত শেক্সপিয়ার এর নাটক মার্চেন্ট অব ভেনিস এর শায়লক চরিত্র হলো তার প্রমাণ। কিন্তু ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট রাজ বংশের রাজা প্রথম চার্লস নিহত হবার পর পার্লামেন্টের নেতৃত্বে ওলিভার ক্রমওয়েল ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ঐ সময় ইংল্যান্ডে কুখ্যাত ইহুদি গুপ্ত সংগঠন ইংল্যান্ডের মাঠিতে শেকড় গেড়ে বসে। ওলিভার ক্রমওয়েল গোপনে ম্যাসন তৎপরতায় যুক্ত হয়।

ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম বৃটিশ ফ্রী ম্যাসনের সদস্য। ১৭১৭ সালে লন্ডনে ম্যাসন গ্রান্ড লজ প্রতিষ্ঠার পর বৃটেনে ধীরে ধীরে গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্হা ও মানবিক সাম্য প্রতিষ্ঠার পর ইহুদিরা এই সুযোগ সদব্যবহার করে বৃটিশ অর্থনীতিকে তাদের ব্যাংকিং ব্যবস্হা সুদের ব্যবসার মাধ্যমে কব্জা করে নেয়।উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি রাণী ভিক্টোরিয়ার সময় ইহুদি বেঞ্জামিন ডিজেরেলি প্রধানমন্ত্রী হয়ে ও যায়।যদিও তিনি খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন বাহ্যত, তিনি গোপনে ফ্রীম্যাসনের সদস্য ছিলেন। এর পর বৃটেনে ইহুদিদের জয়জয়কার। তার ধারা এখনো অব্যাহত।

এমনকি ক্রমান্বয়ে তারা বৃটিশ কলোনি আমেরিকাতে ও গেড়ে বসে। বৃটিশ রাজপরিবারের অধিকাংশ সদস্য এবং চার্চিল সহ অনেক প্রধানমন্ত্রী ছিল গুপ্ত সংগঠন ফ্রী ম্যাসনের সদস্য। এদের তৎপরতায় সৃষ্টি হয় পেলেস্টাইনে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েল যেটা আজ বিশ্বশান্তির জন্য একটা মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বৃটেনে বসবাসরত কয়েকজন চিহ্নিত বাংলাদেশের মানুষ ইজরায়েলের জন্য লবিং করতে দেখা যাচ্ছে।

এদের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা যিনি মুক্তি যোদ্ধা ও ছিলেন তিনি এখন লন্ডনে হোটেল ব্যবসা করেন।তিনি তাঁর ফেইসবুকে অনেক পোস্ট দিয়েছিলেন বাংলাদেশ কে ইজরায়েলের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ওকালতি করে । তিনি আমার সাথে ফেইসবুকে যুক্ত ছিলেন। তো একবার আমি কমেন্ট করলাম দাদা আমার জানামতে বাংলাদেশেে ফ্রীম্যাশন বেশ সক্রিয় আছে তারাও আপনার মত ইজরায়েলের পক্ষে কাজ করছে।আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ যোগ করলে কাজটা মনে হয় সহজ হবে। এরপর টুক করে তিনি আমাকে Unfriend করে দিলেন। মনে হয় একেবারে মোক্ষম জায়গায় ঘা লেগেছে। এখন দেখছি আরো দু’একটা নুতন মুখ দেখা যাচ্ছে।

মূলত এরা মোসাদ বা ফ্রী ম্যাসনের সাথে যুক্ত। এরা মাঝে মাঝে ইজরায়েল যায়। জেরুজালেম যায়। এদের স্পন্সর কিন্তু ইহুদি লবি।এরা শুধু মাত্র ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এধরণের অপতৎপরতায় লিপ্ত। কয়েক বছর আগে একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক অবৈধ ভাবে গোপনে ইজরায়েল গিয়ে ধরা খেয়েছিলেন মনে পড়ে কি?তার পত্রিকায় ও ইজরায়েলের পক্ষে বেশ কিছু লেখালেখি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ধরা পরে গিয়েছিল। অতএব এই চক্র এবং এদের অপতৎপরতা থেকে সাবধান!

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.