--- বিজ্ঞাপন ---

কোমায় উত্তর কোরিয়ার ডিক্টেটর কিম জং উন

0

মুমূর্ষু অবস্থায় কোমায় আছন্ন একনায়ক কিম জং উন। ফলে উত্তর কোরিয়ার শাসনভার আপাতত নিতে চলেছেন তার বোন কিম জং ইয়ো। এবার পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্রনীতি, বিশেষ করে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেবেন ইয়ো।

এমনটাই দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায় জংয়ের ঘনিষ্ট চাং সং-মিন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন চাং সং-মিন।

সেখানে তিনি বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা স্বেচ্ছায় শাসনের রাশ অন্যের হাতে তুলে দেবেন না। যদিও না তিনি গুরুতর অসুস্থ হন বা সেন বিদ্রোহের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হন। আমার মনে হয় কিম কোমায় আচ্ছন্ন। তবে এখনো তার মৃত্যু হয়নি। এখনও পরবর্তী শাসক নির্বাচন বা ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। যেহেতু বেশি সময় আসন ফাঁকা রাখা যায় না, তাই কিম জং ইয়োকে আপাতত সামনে আনা হয়েছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, একদা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায় জংয়ের রাজনৈতিক সচিব থাকার দরুন চাং সং-মিনের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উত্তর কোরিয়ার খবর তাঁর কাছে পৌঁছানো অসম্ভব কিছু নয়।

মিন নিজেও দাবি করেছেন, চীনের এক গোপন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন গুরুতর অসুস্থ কিম।

এদিকে, পারিবারিক ধারা মেনেই কিম জং ইয়ো সম্পর্কে বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে কিমের অসুস্থতার খবরের পর থেকেই ধোঁয়াশার পিছনে থাকা ৩৩ বছরের এই তরুণীই আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন। ২০১৮ সাল থেকেই উল্কাবেগে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন কিম জং ইয়ো।

ভাই কিমের পরে বোন ইয়ো-এর হাতেই উত্তর কোরিয়ার শাসনভার যাবে বলে দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ভাই কিমের ‘চিফ অব স্টাফ’ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কিম জং ইয়ো।u এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোরিয়ার কিমের মিত্রতা স্থাপনের চেষ্টাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বোনের। #সংবাদ প্রতিদিন

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.