--- বিজ্ঞাপন ---

আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের মৃত্যুদন্ড দাবি

0

বিশেষ প্রতিবেদন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল, এহসানুল হক সমাজি ও আবু আব্দুল্লাহ শুনানি করেন। এদিন মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজল বলেন, ‘কারাগারে থাকা সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় নিহত আবরারের মা-বাবাসহ সমগ্র বিশ্ব বিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে আবেদন করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষের অপর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি বলেন, ‘মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করার যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। আদালতের কাছে আবেদন করব, আইনের আলোকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।’

এদিকে, অভিযোগ গঠনের শুনানি উপলক্ষে আজ সকালে ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত‌্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।

এরপর গত বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন—বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, উপসমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মো. মুজাহিদুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

আসামিদের মধ্যে মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ পলাতক। বাকি ২২ জন কারাগারে আছেন। এই মামলায় আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১২ মার্চ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আবরার হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর ফাইল অনুমোদন করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কার্যালয়ে আবেদন করেন নিহত আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ। এরপর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলার বিচারকাজ এত দিন বন্ধ ছিল।সূত্রঃ এনটিভি### ২.৯.২০

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.