--- বিজ্ঞাপন ---

চিন থেকে স্টিল বুলেট কিনছে পাকিস্তান

0

 

বিশেষ প্রতিবেদন##

চীন-পাকিস্তান পরপস্পরের মধ্যে অস্ত্রের বাজার বাড়াচ্ছে। চীন এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে পরমানু অস্ত্র দ্বিগুন করার। অপরদিকে পাকিস্তান চীন থেকে কিনছে একের পর এক অস্ত্র সরঞ্জাম। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ পাকিস্তানের অস্ত্র ক্রয়ের দিকে কড়া নজর রাখছে। পাকিস্তান সম্প্রতি চীন থেকে ৮০ হাজার স্টিল বুলেট কেনার খবরও বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

ভারাতীয় গণমাধ্যম জানায়, পাকিস্তান ৮০ হাজার স্টিল বুলেট চিনের থেকে নিজের ঘরে তুলেছে পাকিস্তান। যা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উদ্বেগের খবর হিসেবে দেখছে ভারত। পাকিস্তান নিজের অস্ত্রভাণ্ডার সাজিয়ে রাখার পদক্ষেপে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই সংক্রান্ত একাধিক খবর ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসতে থাকে।অস্ত্র

ভারতের নিরাপত্তার কড়া বন্দোবস্তের মুখে পড়ে কার্যত অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের ।এমন পরিস্থিতিতে ভারতে নাশকতার ছক বুনতে সমস্যায় পড়ছে একাধিক পাক সন্ত্রাসবাদী সংস্থা। অন্যদিকে, চিনের থেকে একের পর এক সমরাস্ত্র পাকিস্তান কিনছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর এসেছে। যা কাশ্মীর পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার শামিল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, পাকিস্তান সেনার একটি ১০ সদস্যের দল চিনে গিয়ে অস্ত্র কারখানায় পণ্য দেখে এসেছে বলেও খবর রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চিনের থেকে পাকিস্তানের যুদ্ধাস্ত্র কেনার বিষয়টি পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের উস্কানি দেওয়ার মতো বিষয়। এছাড়াও নিজের সেনার সমরসজ্জার জন্য দেউলিয়া পাকিস্তান চিনের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজারটি ব্যালাস্টিক বুলেট প্রউফ জ্যাকেট কিনছে । ভারতের অভিযোগ, এগুলি লস্কর ই তৈবা জইশের মতো সংগঠনকে দিচ্ছে পাকিস্তান। সঙ্গে কেনা হচ্ছে বেলুন ব়্যাডার। যার দ্বারা আকাশ থেকে মাটিতে নজরদারি করা যায়।

এছাড়াও কমব্যাট ড্রোন ১৫ টি আর্টিল্যারি বন্দুক, উচ্চ অক্ষাংশের এলাকায় যাতে লড়াই করা যায়, তারজন্য উপযুক্ত পোশাক, গগল, জ্যাকেট ইত্যাদি কেনাকাটা করছে পাকিস্তান। যে জিনিসগুলির দিকে নজর রেখেছে ভারত। পাকিস্তানের গতিবিধি কাশ্মীর সীমান্তকে স্বস্তিতে থাকতে দেবেনা বলে মনে করছে ভারত। আর এই সমস্ত সমরাস্ত্রের হাত ধরে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ আরও বাড়ানোর চেষ্টায় পাকিস্তান থাকবে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

ভারত মনে করছে, পাকিস্তানকে এই সমস্ত যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে চিন যেমন ব্যবসায়িক মুনাফা লুটছে একদিকে, অন্যদিকে, চিন চাইছে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাক ঠান্ডাযুদ্ধ চলুক। চিনের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে উস্কানির নেপথ্যেও রয়েছে বড়সড় স্বার্থ। চিন চাইছে, কাশ্মীরের সীমান্ত জুড়ে যদি পাকিস্তান ক্রমাগত যুদ্ধনীতি বজায় রাখে, বা সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ বজায় রাখে, তাহলে পূর্ব লাদাখে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভারতীয় প্রতিরক্ষার মুখে পড়বে চিন। ফলে চিনের কাজ সহজ হবে। কারণ ততক্ষণে কাশ্মীরে পাকিস্তানের সন্ত্রাস নিয়ে নাজেহাল থাকবে ভারত।##৪.৩.২০

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.