--- বিজ্ঞাপন ---

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ট্রাম্প

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক##

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকার এই প্রেসিডেন্টকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভুষিত করার প্রস্তাবটি এসেছে নরওয়ে থেকে। নানা কারনে তাকে শান্তি পুরস্কার দেয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়।

আনন্দবাজার জানায়, সামনে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগেই, ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে। মার্কিন টিভি চ্যানেল ‘ফক্স নিউজ’ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।

গত অগস্টেই নাটকীয় ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা করে ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দুটি দেশ। দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্টের চার বারের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে। তিনি আবার নেটোয় নরওয়ের প্রতিনিধি দলের চেয়ারম্যানও বটে।

‘ফক্স নিউজ’কে গেড্ডে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) দু’টি দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন, যেরকম কাজ নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য ব্যক্তিরা করে থাকেন।’’ ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রসঙ্গ টেনে গেড্ডে নোবেল কমিটিকে লিখছেন, ‘‘এটা আশা করা হচ্ছে যে মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদাহরণ অনুসরণ করবে। এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে সহযোগিতা এবং উন্নয়নের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।’’

স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি— গত ১৩ অগস্ট এ কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান। এই নিয়ে এটা ইজরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোন আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি স্থাপিত হল। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিশর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডনের সঙ্গে ইজরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।নভেম্বরেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রার্থী জো বিডেন। তার ঠিক আগে আগেই এমন চমক। অবশ্য এই প্রথম নয়, ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিং জঙ উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কোরীয় উপদ্বীপে সংঘাতের আবহ কাটাতে উদ্যোগও নেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি ভারত এবং চিন নিয়েও তিনি একই সুরে কথা বলেছিলেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমস্ত প্রস্তাবই পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।###১০.৯.২০

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.