--- বিজ্ঞাপন ---

বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গন

0

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কিছুদিন বাকি। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষে তিনি নতুন বিচারপতির নাম ঘোষণা করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সম্ভবত শুক্র অথবা শনিবার আমরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাব। পাঁচজন নারী প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেছে নেবো।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ বাডার গিন্সবার্গ ৮৭ বছর বয়সে মারা গেছেন।
এ শূন্যপদ পূরণে ট্রাম্প তড়িঘড়ি করলেও ইতোমধ্যে তার দলের দু’জন সিনেটরের বিরুদ্ধে তাদের আপত্তি জানিয়েছেন।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমাক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির শূণ্য পদ পূরণে নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ভোটাভুটিতে না যেতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বাইডেন রোববার ফিলাডেলফিয়ায় বলেছেন, নির্বাচনের তীক্ত লড়াইয়ের মাঝে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করে ট্রাম্প তার কাঁচা রাজনৈতিক ক্ষমতার চর্চা করছেন।
কিন্তু ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, তার রাজনৈতিক পেশীতে নমনীয়তা নেই। এছাড়া সিনেটে তার মিত্ররা এ বিষয়ে তাদের এগিয়ে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে বলেও তাকে জানানো হয়েছে।

রুথ বাডার গিন্সবার্গকে রাজধানী ওয়াশিংটনের কাছে আরলিংটনে আগামী সপ্তাহে সমাহিত করা হবে। ট্রাম্প বলেন, তার মনোনিত ব্যক্তির নাম ঘোষণার জন্যে তিনি রুথের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর পর তিনি পূর্ণ গতিতে এগিয়ে যাবেন। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মনোনয়ন নিয়ে এ বিতর্কের জেরে সকলের দৃষ্টি করোনাভাইরাস থেকে সরে যেতে পারে। এতে ট্রাম্প কিছুটা লাভবান হলেও ঝুঁকিতেও থাকবেন বলে মনে করছেন তারা।

রয়র্টাস/ইপসসের জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ আমেরিকান মনে করছে নির্বাচনের পরই কেবল সুপ্রিম কোর্টের শূন্য পদ পূরণের কাজটি করা উচিত। এছাড়া মৃত্যুর আগে গিন্সবার্গ তার নাতনীকে শেষ ইচ্ছা হিসেবে বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট এসে যেন তার শূণ্য পদ পূরণ করেন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, আমি জানি না তিনি এটা বলেছিলেন কিনা। এটি বাতাস থেকে উড়ে এসেছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.