--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতকে টপকিয়ে পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে চলেছে পাকিস্তান, বলছে মার্কিন থিংক ট্যাংক

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম:

দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তি অর্জনকারী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কাশ্মীর অঞ্চলকে ঘিরে চরম উত্তেজনা পরবর্তীতে বৃহৎ শক্তির তালিকার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে বেশ কয়েকবার। দেশ দুটি একে অপরের বিরুদ্ধে তিনবার পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ১৯৪৭, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সনে।  তবে  অতীতের এসব  যুদ্ধে দুটি দেশের কেউই পরমাণু শক্তির অধিকারী ছিলনা। ১৯৭১ সালের সর্বশেষ যুদ্ধের পর থেকে আজ অবদি দেশ দুটি বড় আকারের যুদ্ধে নামেনি । যদিও  সীমিত আকারে ১৯৯৯ সালে কারগিল এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে বালাকোটের সংঘর্ষের ঘটনা দু’দেশ বড় আকারের যুদ্ধের দ্বার প্রান্তে এলেও বিশ্ব শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হস্তক্ষেপে  উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ভারত তার প্রথম পরীক্ষমূলক পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ১৯৭৪ সালের ১৮ মে পোখরানে। সেই তখন থেকেই পাকিস্তানও গোপণে এর জবাবে নিজেরাও পরমাণু ক্ষমতার অধিকারি হতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। ভারত তার দ্বিতীয় দফা ১৯৯৮ সালের ১১মে । এর ১৭ দিন পর সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তান ভারতের ঐ জবাবে  নিজেরাও বেলুচিস্তানের চাগাই পর্বতে ৫টি এবং ৩০মে আরও ১টি সর্বমোট ৬টি পরমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  বিশিষ্ট ব্যক্তিদের  থিংক  ট্যাংক  হিসেবে পরিচিত সংবাদ মাধ্যম ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ এবং পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমসমূহ  অতি সম্প্রতি পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে বিস্তারিত এবং ভবিষ্যতের যে কোন যুদ্ধে দেশটির সামরিক সক্ষমতা, নিজেদের তৈরী সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন  প্রকাশ করেছে।  মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ এর  সর্বশেষ সংস্করণের উদ্ধৃতি দিয়ে পশ্চিমা সামরিক সংবাদ মাধ্যমসমূহ ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচীর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত প্রকাশ করা হয়ে থাকে এমন একটি সংবাদ মাধ্যম হচ্ছে এই ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’। অতীতে দেখা গেছে, এই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের উপর নির্ভর  করে সে দেশের নীতি নির্ধারনী সংস্থা মার্কিন কংগ্রেস বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রভাবশালী মিডিয়াটির অন্যতম সিনিয়র বিশ্লেষক কাইল মিজোকামি পরমাণু শক্তিতে ভারতকে পেছনে ফেলে পাকিস্তানের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে  প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ।  তিনি দীর্ঘ প্রতিবেদনে বলেন, অচিরেই পাকিস্তান চীর প্রতিদ্বন্দী দেশ ভারতকে টপকিয়ে বৃহৎ পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। বিশ্বের পরমাণু শক্তির স্বীকৃত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার এবং ঠিক এর  পরেই পাকিস্তান সেই স্থান দখল করতে চলেছ্।মার্কিন থিংক ট্যাংক বিশ্লেষক কাইল মিজোকামি ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’-্এর  তার  দীর্ঘ প্রতিবেদনে পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচীর বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যত কর্মসূচীর বিশদ বর্ণনা দেন ।

জলে, স্থলে অন্তরীক্ষে পরমাণু বোমা ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ মতামতের ভিত্তিতে তার প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, পরমাণু সক্ষমতার এই ত্রৈমাত্রিক শক্তি অর্জনের ফলে পাকিস্তান তার চীর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত, চীন , এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলিকে পেছনে ফেলে পরমাণু শক্তিতে এগিয়ে গেল।

মার্কিন পরমাণু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের নিকট বর্তমানে ১১০ থেকে ১৩০টি পরমাণু বোমা রয়েছে। এবং দেশটি পরমাণু বোমা তৈরীর অন্যতম উপকরণ  বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন ও মজুদ বাড়িয়ে চলেছে । যা দিয়ে  বছরে পাকিস্তান  বছরে ২০টি পরমাণু বোমা তৈরী করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা আরও বলছে ইসলামাবাদ দ্রুত ইউরেনিয়াম মজুদ গড়ে তুলছে এবং পাকিস্তানের মার্কিন এফ-১৬ ও মিরেজ জঙ্গী বিমানে পরমাণু বোমা যাতে বহন করতে পাওে এজন্য র‌্যাক তৈরী করেছে। এসব  দেখে  পরমাণু বিশেষজ্ঞরা এমর্মে নিশ্চিত হয়েছেন যে,  আগামী দু এক বছরের মধ্যেই ভারতকে পেছনে ফেলে দেশটির স্থান যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরেই।

জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে পরমাণু বোমা নিয়ে আক্রমণের অত্যন্ত টেকনিক‌্যাল এই ত্রিমুখী সক্ষমতা পুরোপুরি অর্জন দেশটিকে পৃথিবীর হাতে গোণা  বৃহৎশক্তির তৃতীয় স্থানে আসীন করতে চলেছে।  ইতিমধ্যেই পাকিস্তান পুরোপুরি এই  সক্ষমতা অর্জন  করেছে বলেও পত্রিকাটির প্রতিবেদেনে  জোর দিয়ে বলা হয়েছে। মিজোকামির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্থল, নৌ ও বিমান থেকে পরিমাণু ওয়ারহেড নিয়ে প্রথম দফা হামলা ও সাবমেরিন থেকে দ্বিতীয় দফা হামলার সক্ষমতা অর্জনের ফলে আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের পরিকল্পনামত মজবুত অবস্থানে পৌঁছুতে যাচ্ছে একথা নিদ্বিধায় বলা যায়। গত জানুয়ারীতে সাবমেরিণ থেকে  পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে সক্ষম বাবুর-৩ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফলভাবে পরীক্ষা চালানোর মধ্য দিয়ে দেশটি এ শক্তি অর্জন করে । পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দেয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,  পাকিস্তান প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রে আনুপাতিক এগিয়ে থাকা ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু শক্তির বহুমুখী ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য ছিল দীর্ঘদিনের । দেশটির লালিত স্বপ্ন  মূলত: এটাই। এবং এতে সফলতাও অর্জন করল । এতে আরও উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভারতের তুলনায় প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্র ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তান পিছিয়ে। এমতাবস্থায় দুদেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আকারে যুদ্ধ বেঁধে গেলে পাকিস্তান প্রথম দফায় পরমাণু হামলাকেই বেছে নিতে পারে।

ইতিপূর্বে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক  হিন্দুস্তান টাইমস এর এক প্রতিবেদনেও পাকিস্তানের এই সক্ষমতা অর্জনের বিষয়টির খানিকটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পত্রিকাটির সাংবাদিক শিশির গুপ্ত  এবছরের গত ২৩ মার্চের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের বিজ্ঞানীরা ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার বাবুর-১ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি এবং সমুদ্রে  ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সফল ও নির্ভুলভাবে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে। এটা সে দেশের সাইন্টিস্টরা স্যাটেলাইটের জিপিএস গাইডেন্স ব্যবহার করে এর লক্ষ্যকে নির্ভুল করতে সক্ষম হয়েছে। বিমান থেকে নিক্ষেপণযোগ্য পরমাণৃু বোমা বাহী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র  ‘রা’দ’ এর ক্ষেত্রেও পাকিস্তান একই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। মার্কিন  রিপোর্টে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের পরমাণু বোমাবাহী ২,৭৫০ কিলোমিটার দূরপাল্লার শাহীন-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সুদূর আন্দামান নিকোবর দ্বীপসহ  প্রায় গোটা ভারতবর্ষই এখন পাকিস্তানি পরমাণু হামলার আওতায়।

পাকিস্তানের অত্যাধুনিক  ভিটি হেভী ট্যাংক সংগ্রহ

এদিকে নিত্য নতুন পরমাণু ও রাসায়নিক জিবানুবোমা হামলা ঠেকাতে সক্ষম বিশ্বের অন্যতম সেরা ট্যাংক হিসেবে বিবেচিত চীনে নির্মিত ভিটি-৪ হেভী ট্যাংক সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। গত ২২ সেপ্টেম্বর এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের সে সেদেশের সেনা প্রধান কামার জাবেদ বাজওয়ার উপস্থিতিতে অত্যাধুনিক এই ভারী ট্যাংক সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। পাকিস্তানের দি নিউজ পত্রিকা সংবাদটি ফলাও প্রচার করে। এদিকে  ভারতের ‘দি উইক’ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের এই অত্যাধুনিক ট্যাংক সম্পর্কে বলছে,  এই ভিটি-৪ ট্যাংক ভারতের নিকট সংগ্রহ করা রাশিয়ার টি-৯০ ট্যাংকের সমকক্ষ । পত্রিকাটি জানায়, যদিও এই ট্যাংক ক্রয় সর্ম্পকে দেশটি তেমন কিছু প্রকাশ করেনি। তবে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দি উইক জানিয়েছে, পাকিস্তান ৮৫৯মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৫ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার দিয়ে ১৭৬টি সর্বাধুনিক ভিটি-৪ ভারী ট্যাংক ক্রয় করেছে। এতে চীনের এই আধুনিক ট্যাংকটি সম্পর্কে মার্কিন কংগেসের গবেষণা গ্রুপের রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্যাংকটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড। এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আধুনিক স্টেট অব দি আর্ট  সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম এতে রয়েছে। ৫২ টন ওজনের এই ভারী ট্যাংকটির নির্মাতা চীনের চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (নরিনকো)। এই  ট‌্যাংক ছাড়াও পাকিস্তান সম্প্রতি নিজেদের দেশে তৈরী ‘আল খালিদ-১’ ট‌্যাংকের আরও উন্নততর সংস্করণের চালান গ্রহণ করে সেনাবাহিনীতে চালু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজ দেশে তৈরী এপর্যন্ত ৪০০ আল খালিদ ট‌্যাংকসহ পাকিস্তান ভারতের ট‌্যাংকের সাথে পাল্লা দিতে সক্ষমতা পেল।

পাকিস্তানের এই ট্যাংকের পাশাপাশি দেশটি নিজেদের অস্ত্র কারখানায় মার্কিন সাঁজোয়া যান এম-১১৩ এর  আদলে ‘তালহা’ আমর্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার  তৈরী করেছে। পশ্চিমা অন্যান্য প্রচার মাধ্যমেও পাকিস্তানের নিজেদের কারখানায় সাঁজোয়া যান, ভারতের মোকাবেলায় অত্যাধুনিক ট্যাংকসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেদনও  প্রকাশ করেছে।  গত সপ্তাহে  পশ্চিমা প্রভাবশালী এক সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক বয়কো নিকোলাভ ভারতের মোকাবেলায় পাকিস্তান ক্রমেই স্বয়ংসম্পূর্ন হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিভিন্ন অস্ত্রের তালিকা প্রকাশ করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ার সামরিক প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বয়কো নিকোলাভ জানান, পাকিস্তানের তৈরী ‘তালহা’ সামরিক যান মার্কিন এম-১১৩ এর চাইতেও আধুনিক । সেদেশের তৈরী বিএমপি ‘ভাইপার’ও ১২জন সৈন্য বহনকারী অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যান। পাকিস্তানের হেভী ইন্ডাস্ট্রি ট্যাক্সিলা (তক্ষশীলা) এসকল অস্ত্রশস্ত্র তৈরী করেছে। ভারতের সম্প্রতি  ফ্রান্স থেকে সংগৃহীত ‘রাফাল’ জঙ্গী বিমানের মোকাবেলায় পাকিস্তান অত্যাধুনিক বিমান সংগ্রহে তৎপর রয়েছে বলেও জানা গেছে। নৌ বাহিনীকেও  সুসজ্জিত করতে পাকিসÍান চীন থেকে ০৫৪ শ্রেণীর ৪টি ফ্রিগেট ও তুরস্ক থেকে মিলজেম শ্রেণীর কর্ভেট ক্রয় করছে। যুদ্ধ জাহাজগুলি এ বছরের শেষ  থেকে আগামী বছরেরে মধ্যে পাকিস্তানে পৌছুবে। সম্প্রতি পাকিস্তান  নেদারল্যান্ড এর ডামেন জাহাজ নির্মাতা কোম্পানীর তৈরী  ২,৩০০ টনের পিএনএস ইয়ারমুখ কর্ভেট শ্রেণীর আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নৌ বাহিনীতে ভাসিয়েছে। একই শ্রেণীর আরও একটি জাহাজ নির্মাণাধীন রয়েছে এটিও অচিরেই হস্তান্তর হবে বলে জানা গেছে। চীন থেকে ৮টি অতি আধুনিক সাবমেরিন নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে। এর কয়েকটি চীনে এবং বাকীগুলি পাকিস্তানের করাচী শিপইয়ার্ডে নির্মাণের করা হচ্ছে।##২৪.৯.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.