--- বিজ্ঞাপন ---

শীগগীরই পানিতে ভাসছে ইরানের হেলিকপ্টারবাহী  যুদ্ধজাহাজ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক##

সামরিক যান বানানোর ক্ষেত্রে আরো এক ধাফ এগিয়ে গেলো ইরান। অতি সহসা কয়েকটি অত্যাধুনিক সমুদ্রগামী যুদ্ধজাহাজ পানিতে নামাতে যাচ্ছে ইরান। এসব জাহাজে কঠিন জ্বালানীর স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র,  থেকে শুরু করে নানা ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র সংযুক্ত থাকবে। ইরানের ‘ফতেহ’ নামের নানা ধরনের মিসাইলসহ ক্ষেপনাস্ত্র রয়েছে। হেলিকপ্টারবাহী একটি জাহাজের উদ্বোধন হবে শীঘ্রই। যে জাহাজটিতে সমরাস্ত্র নিয়ে ৭টি হেলিকপ্টার এক সাথে নামতে পারবে।

ইরানী গণমাধ্যম জানায়,মধ্যপ্রাচ্যে উপসাগরীয় দেশসমূহের মধ্যে ইরানই সর্বপ্রথম হেলিকপ্টারবাহী  সমুদ্রগামী  যুদ্ধজাহাজ  পানিতে ভাসাতে যাচ্ছে। আসছে নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে কোন এক সময়ে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে। জানিয়েছেন দেশটির নৌ বাহিনীর কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল হোসেন খানজাদি। রাজধানী  তেহরান থেকে তাসনিম বার্তা সংস্থা সর্বশেষ এ খবর দিয়েছে।

ইরানে তৈরী  এই হেলিকপ্টারবাহী এ জাহাজটি বিপুল পরিমান ক্ষেপণাস্ত্র বহণ করতে সক্ষম। পাশাপাশি কয়েকটি অত্যাধুনিক প্রপালশান প্রযুক্তির  ‘ফাতেহ’ শ্রেণীর সাবমেরিণ এবং আরও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজও এসময়ে পানিতে নামানো হবে বলে নৌ বাহিনীর কমান্ডার খানজাদি জানান। ঐ প্রপালশন দিয়ে সাবমেরিনগুলি আগেরগুলির চাইতে আরও বেশী সময় পানির গভীরে অবস্থান করতে পারবে। সম্প্রতি ওমান উপসাগরে অনুষ্ঠিত ইরানের নৌ মহড়ায় সাবমেরিন থেকে নিক্ষপণযোগ্য আরও দ্বিগুণ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষাও হয়েছে।  এছাড়া অন্যান্য নতুন নেভী  ভেসেলের মধ্যে রয়েছে ‘ডেনা’ শ্রেণীর যুদ্ধজাহাজ ও ‘সাবা’ শ্রেণীর মাইনসুইপার। সংস্থার খবরে ইরানের কমান্ডার কর্তৃক মার্কিন সেনাবাহিনীকে হুমকী  দিয়ে বলা হয়েছে ঐ অঞ্চলে সকল মার্কিন সেনা গতিবিধির উপর ইরান নজর রাখছে এবং ইরানের নৌ ইউনিটগুলো মার্কিন যে কোন সম্ভাব্য হামলার কড়া জবাব দেয়ার জন্য তৈরী  রয়েছে।###২৬.৯.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.