--- বিজ্ঞাপন ---

জেমস বন্ড ০০৭ সীন কনোরী এখনও সেরা

বৃটিশ গুপ্তচরের নামেই সৃষ্টি হয় সাড়াজাগানো চরিত্রটি

0

কাজী আবুল মনসুর##

জেমস বন্ড। সারা বিশ্বে শিহরন জাগানো একটি নাম। যে নামের সাথে জড়িয়ে আছে নানা কাহিনী। জেমস বন্ডের নাম শুনলে মেয়েরা পাগল হয়ে যায় । তা সে যে বয়সেরই হোক না কেন। বিশেষ করে ৭০ থেকে ৯০ দশক জুড়ে জেমস বন্ড ০০৭ সারা বিশ্বে সাড়া জাগানো একটি চরিত্র ছিল। যিনি এ নামটি ধারন করে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি তার নাম সীন কনোরী। গোয়েন্দা কাহিনী নির্ভর তাঁর সিনেমাগুলো সব ধরনের মানুষকে এমনভাবে আকৃষ্ট করতো যা বলা বাহুল্য। তাই সীন কনোরী সারা বিশ্বের তরুনী মহলে নিজের অবস্থান এমন পাকাপোক্ত করে নিয়েছে যা কখনও ভুলবার নয়। ১৬ থেকে ৪৬ বছরের যে কোন তরুনীই ০০৭ জেমস বন্ড খ্যাত সীন কনোরী বলতে পাগল। কি শয়নে কি স্বপ্নে কি জাগরনে। সিনেমার পর্দায় ধাবমান গাড়ীর সিটে, রেস্তোরায় বা প্লেনের সীটে সিন কনোরীকে পেলেই হলো। যৌবন বা যৌবনবতী যে কোন তরুনীই বাহ্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলতো। বোবা বনে যেতো। কথা বের হতো না মূখে। এমন কি আকর্ষন ছিল সীন কনোরীর চেহারায়?

সারা বিশ্বে সাড়াজাগানো গোয়েন্দা মুভি সিরিজে ‘জেমস বন্ড’ এ অভিনয় করেছেন অনেক নামী-দামী অভিনেতা। অনেকে জেমস বন্ড হবার জন্য পাগলের মতো ঘুরছেন। যদি চরিত্রটি একবার ধরা দেয়। অনেকে সিনেমা জগতে জেমস বন্ড হয়ে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি বৃটেনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সর্বকালের সেরা জেমস বন্ডেএর নির্বাচন। পাঠক ও দর্শকরা তাদের মতামত জানান। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে স্কটিশ অভিনেতা সীন কনারিকেই শ্রেষ্ঠ ‘বন্ড’ হিসাবে নির্বাচন করেছেন। 

দয়েৎসেবেলে সূত্র জানায়, ‘এ জরিপে টুর্নামেন্টের মতো বেশ কয়েকটি রাউন্ডে মোট ১৪ হাজার পাঠক অংশ নেন, যার ফল প্রকাশ হয় গত সোমবার। প্রথম রাউন্ডে বর্তমান জিরো জিরো সেভেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ (স্কাইফল) এর বিরুদ্ধে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন শন কনারি (গোল্ডফিঙ্গার)। অন্যদিকে আইরিশ অভিনেতা পিয়ার্স ব্রসনান (গোল্ডেন আই) দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ান জর্জ ল্যাজেনবি (অন হার ম্যাজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিস) বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। অক্টোপুসি খ্যাত ও সাতবারের বন্ড তারকা রজার মুর আশ্চর্যজনকভাবে ওয়েলসে জন্ম নেয়া টিমোথি ড্যালটনের (দ্য লিভিং ডেলাইটস) এর বিরুদ্ধে হেরে যান। ফাইনালে ড্যালটন ৩২ আর ব্রসন্যান ২৩ শতাংশ ভোট পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময় পুরুষ হিসেবে পরিচিত ৮৯ বছর বয়সি সীন কনোরি ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। কল্পনাতীত সাফল্য পাওয়া বন্ড -এর তৃতীয় ছবি ‘গোল্ডফিঙ্গার’ থেকে থিম সং- এর একটি লাইন উল্লেখ করে রেডিও টাইমস এর প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘সীন কনোরি আবারো এটাই প্রমাণ করলেন যে তিনিই হলেন কিংবদন্তি কিং জেমস বন্ড, যার স্পর্শে সবকিছু সোনায় পরিণত হয়েছে।’

আসলে জেমস বন্ড বিশ্বে সিনেমা বা সিরিজ জগতের বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ গুপ্তচর। ০০৭ কোড নাম্বার যুক্ত হয়ে বিশ্বখ্যাত জেমস বন্ড ০০৭ আত্মপ্রকাশ করে। গোয়েন্দা জগতের নানা সিনেমা ও সিরিজে বন্ডের সহযোগী রয়েছে একের পর এক মোহময়ী নারী। খ্যাতিমান নায়িকারা জেমস বন্ড সিরিজে অভিনয়ের জন্য এখনও পাগল। সিনেমা জগতের এক মশলাদার প্যাকেজের নাম জেমস বন্ড। কিন্তু জেমস বন্ডের অস্তিত্ব কি আসলে আছে। নাকি মানুষের কল্পনার জগতের সৃষ্টি জেমস বন্ড এ নিয়ে রয়েছে নানা কৌতুহলও। তাই বিশ্বে বাস্তবের জেমস বন্ড খুজতেঁ অনেকে হন্য হয়ে ঘুরেছে দেশের পর দেশ।

জেমস বন্ড ০০৭ চরিত্র সৃষ্টির পেছনেও রয়েছে নানা ইতিহাস। বৃটিশেদের গুপ্তচর হিসেবে জেমস বন্ড নামটির প্রথম আত্মপ্রকাশ ৬০ এর দশকে। কিন্ত বৃটিশরা এ গুপ্তচরের নামের ক্ষেত্রে বরাবরই নীরব ভুমিকা পালন করে এসেছে। পরে বিষয়টি প্রকাশ পেলেও বৃটিশ এ ব্যাপারে কোন মূখ খোলেনি। জেমস বন্ড নামের কেউ বৃটিশ গুপ্তচর ছিল কিনা এ নিয়ে নানা সংশয় থাকলেও পোল্যান্ডের ইনস্টিটিউন অফ ন্যাশনাল রিমেম্বারেন্স নামের একটি সংস্থা প্রথম প্রকাশ করে বাস্তবেই জেমস বন্ড নামে এক ব্রিটিশ গুপ্তচরের অস্তিত্ব ছিল। ষাটের দশকে বৃটেন বিভিন্ন দেশে পাঠায়। বিশেষ করে তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়েনর সাথে সম্পর্ক থাকা অনেকে দেশে বন্ডকে পাঠানো হয়। তবে প্রথম পোল্যান্ড স্বীকার করে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সম্পর্কের কারনে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্রিটেন একজনকে পোল্যান্ডে পাঠিয়েছিল তার নাম জেমস বন্ড। ১৯৬৪ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বন্ড পোল্যান্ডে আসেন বলে পোল্যান্ডের সংস্থাটির নথিতে খুজে পাওয়া যায়। উল্লেখ করা হয়,বৃটিশ দূতাবাসের কর্মী সাজিয়ে তাঁকে গোয়েন্দাগিরি করতে পাঠানো হয়েছিল। আরো উল্লেখ রয়েছে বন্ড সে সময় পোল্যান্ডে আসার সাথে সাথে নানা কারনে পোল্যান্ডের গোয়েন্দাদের নজরে পড়ে যান।

আইপিএন-এর কাছে জেমস বন্ড সম্পর্কে বিপুল তথ্য রয়েছে। এ সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও ব্যাক্তি নিয়ে কাজ করে। জেমস বন্ড সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সংস্থাটির প্রধান মারজেনা কুরক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘জেমস বন্ড বৃটিশদের হয়ে পোল্যান্ডে আসেন। পোল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরে বেরোতেন। সাধারনত তথ্য সংগ্রহ করতেন। সিনেমার চরিত্রের মতো বাস্তবের জেমস বন্ডও সুন্মদরী মহিলাদের পছন্দ করতেন। পোল্যান্ডের সামরিক ঘাঁটিগুলির দিকেতার নজর ছিল বেশি। পোল্যান্ডের গোয়েন্দাদের কারণে বন্ড এখানে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।

মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই বিভিন্ন দেশে গোয়েন্দা নজরদারীর বিষয়টি প্রবল দাপটের সাথে চালু হয়। আমেরিকান সিআইএ আর সোভিয়েত ইউনিয়নের কেজিবি ছিল সারা বিশ্বে পরিচিত হয়ে উঠে। বিশ্বে প্রভাব বিস্তারকারী দেশগুলোতে মূলত ‘ঠান্ডাযুদ্ধ’ (Cold War) শুরু হয়।  কমিউনিস্ট সোভিয়েত রাশিয়া সেরা নাকি পুঁজিবাদী আমেরিকা সেরা এ নিয়ে লেগে যায় কোল্ড ওয়ার। বিশ্বও দু’ই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়। সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদ। দু’শিবিরে বিভক্ত দেশগুলোতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সমরাস্ত্র, বোমা নিয়ে শুরু হয় গবেষণা। কিভাবে একে অপরকে টেক্কা দেবে সে প্রচেষ্টা অব্যাহতভাবে চলে। দু’শিবিরে বিভক্ত দেশগুলো একে অপরকে ভালো নজরে দেখতেন না। এক শিবিরের লোকজন অন্য শিবিরের গিয়ে গোয়েন্দাগিরি করতেন। আর এ গোয়েন্দাগিরির বিষয়টি এত প্রবলভাবে প্রকাশ পায় যা নিয়ে রচিত হতে নানা সিনেমা। বিভিন্ন দেশে দেশে গোয়েন্দা কাহিনী নির্ভর সিনেমা তৈরি হতে থাকে। এসব কাহিনীর প্রতিটি শিহরনে ভরা। আর এসব কাহিনী নিয়ে অনেক লেখক লিখতেন গোয়েন্দা নির্ভর গল্প। মূলত এই সময়ই ব্রিটিশ উপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের কলম থেকে জন্ম নেয় ‘জেমস বন্ড’,চরিত্রটি। তাকে রূপায়ন করা হয় ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের এক অসাধারণ এজেন্ট হিসেবে। ১৯৬২ সালের দিকে জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম ছবি, ‘ডক্টর নো’ মুক্তি পাবার পর জেমস বন্ড সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। জেমস বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করে সাড়া ফেলে দেন বিখ্যাত অভিনেতা সীন কনোরি। এরপর প্রায় ৫ দশক ধরে বন্ড সিরিজের ২৫টি ছবি তৈরি হয়েছে। এই সিরিজের শেষ ছবি হচ্ছে, ‘নো টাইম টু ডাই।’

সে সময় থেকেেএখনও সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেমস বন্ড চরিত্রটি। একাধিক অভিনেতা অভিনয় করলেও জেমস বন্ড এর প্রয়োজন এখনও ফুরিয়ে আসেনি। আন্তর্জাতিক সিনেমা মন্ডলে জেমস বন্ড এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। আর সীন কনোরী হচ্ছে জেমস বন্ড। সাড়া জাগানো ০০৭ জেমস বন্ড ছবির নায়ক। জেমস বন্ড চরিত্র নিয়ে বিশ্বের সিনেমা জগতে গবেষনাও কম হয়নি। এখনও হচ্ছে। বন্ড সিরিজের শেষ ছবির নাম ‘স্পেক্টার’।

ড্যানিয়েল ক্রেগ নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। রূপালী পর্দা মাতাতে আবারও আসছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সেই বন্ড সিরিজের পরবর্তী ছবির নাম ‘বন্ড ২৫’। এবারও বন্ডের ভূমিকায় দেখা যাবে ড্যানিয়েল ক্রেগকেই। ‘দ্য নেম ইজ বন্ড’ জেমস বন্ড।’ রমণী-মোহন ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্ট জেমস বন্ডকে পর্দায় দেখবেদর্শক।  ২০১৯ সালের শেষের দিকে ব্রিটেনে ‍মুক্তি পায় ‘Bond 25’।

সিন কনোরী আসলে কে ছিল। সারা বিশ্বের রাফ এন্ড টাফ্র নায়করা তাকে অনুসরন করেন। এ পর্যন্ত জেমস বন্ড হিসেবে যারাই রূপালী পর্দায় এসেছেন তারা সবাই চেষ্টা করেছেন সিন কনোরী হতে। ০০৭ জেমস বন্ড ছবির নায় সিন কনোরী ছিলেন জাতিতে আইরিস। তার জাতীয়তা নিয়ে বেশ কিছু মতবিরোধ আছে। এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয় নি। শেষপর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমে সিন কনোরী নিজেই তার অবস্তান পরিস্কার করেছিলেন। এগুলো এখন ইতিহাস। পিতা-মাতার দিক দিয়ে কনোরী আইরিন। তবে তার জম্ম হয়েছিল স্কটল্যান্ডে। সীন কনোরী বেশ রসিক ছিলেন। তার এ চরিত্রও অনেকে ফলো করতেন। জেমস বন্ডের ছবি মানেই মদ আর নারী। বিখ্যাত হার্পার পত্রিকায় একবার তার সাক্ষাতকার ছাপিয়েছিল। সে কনোরী বলেছিলেন, তিনি ড্রিন্ক করতেন না! এক সাংবাদিক একবার তাকে প্রশ্ন করেছিলেন,‘কনোরী তুমি নাকি ড্রিন্ক করোনা’? কনোরী দরাজ হাসি হেসে বললেন, ‘ইন্টারভিউতে অনেক মিথ্যা কথা বরতে হয়। বোঝই তো মানুষ একটা ইমেজ চায়। ইন্টারভিউতে নানা বাজে কথা বলে ঐ রকম ইমেজ বজায় রাখতে হয়। নইলে হলিউডের সব নামিদামী তারকারা যদি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কেলেংকারীর কথা প্রকাশ করে প্রকাশ্যে প্রচার করতো তাহলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি লাটে উঠতো।’

প্রথম দিককার ছবির প্রশ্নে কনোরী বলেন, প্রথম দিককার ছবি মানে ব্যর্থতার ছবি। তখন কেই বা  আমাকে চেনে । কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না। মনে আছে আমার প্রথম ছবি ‘অ্যানেদার টাইম অ্যানেদার প্লেইস’ লালা চারনারের বিপরীতে। একই সাখে ওয়াল্ট ডিজনীর একটা ছবিতে কাজ করছিলাম। ঐ ছবির নাম ছিল ‘দ্যা টাইটেল পিউপল’। মজার কথা কি জানেন , আমার দৈহিক ওজন ছিল বেশ কম। শরীরটা ছিল হাল্কা। চোয়ালের হাড়গুলো বের করা। আলফ্রেড হিচকক আমার চোয়ালের হাড় দেখে বলল, ক্যামেরায় এটা বিশ্রী আসবে। তুমি লম্বা আর মোটা জুলফি রাখো হে।’ আমি কৃত্রিম জুলফি রাখলাম। তা যা দেখাচ্ছিল আমার চেহারাখানা।’

০০৭ সিরিজের  ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবিতে ভিন্ন কান চরিত্রে অভিনয় করা পছন্দ করো তুমি? এ প্রশ্নে বন্ড বলেন, সিউর। বলল সীন কনোরী। এই জেমস বন্ডের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি আমি। সারা জীবন সিক্রেট এজেন্ট হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হতে চাইনা আমি। তাছাড়া ঝামেলাও আছে। গোল্ডকিফার ছবিতে মারপিটের দৃশ্যে দারুন মার খেতে হয়েছে আমাকে। ফ্রম লাভ উইথ রাশিয়া ছবিতেও মার খেতে হয়েছে। এত মারামারি আর ভালো লাগেনা। তাই হিচককের ডাকে সাড়া দিলাম। গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছি। কিন্ত একটা জিনিষ উপলদ্ধি করলাম, দর্শকরা আমাকে সিক্রেট এজেন্ট হিসেবেই দেখতে চায়।

তুমি কি স্বাধীনচেতা? এ প্রশ্নে কনোরী বলেন, ১৯৫৮ সালে আমি যখন হলিউডে আসি তখন এখানকার কলাকুশলীরা আমাকে একটি টিভি সিরিজে অভিনয় করতে বলেন। কিন্ত আমি রাজী হয়নি। আমার মনে হয়েছিল আমার আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আমি লন্ডনে ফিরে যাই। সেখানে দুটো নাটক আর দুটো টিভি সিরিজ করি। বছরে মাত্র একটি ছবি করি। এগুলো উদ্দেশ্য ছিল দক্ষতা অর্জন করা। কারন পূর্ণ দক্ষতা থাকলে তখন আমি যে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে পারবো।

জেমস বন্ড সিরিজ কনোরীকে কি দিয়েছে? এ প্রশ্নে কনোরী বেশ নাড়াচাড়া দিয়ে বলেন, বলল কি দিয়েছে? আগে আমার একটি একটা স্কুটার ছিল। যা দিয়ে পই পই করে ঘুরে বেড়াতাম। এখন স্কুটারের পরিবর্তে গাড়ী হয়েছে। আর আগে আমার কোন অর্থ ছিল না। সে জন্য বিশেষ গার্ল ফ্রেন্ড ছিল না। এখন আমার প্রচুর মেয়ে বন্ধু। আমি ওদের জ্বালা সইতে পারি না। মেয়েদের থেকে আমি পালাতে চাই।’

কিংবদন্তী এ অভিনেতা ১৯৩০ সালে জম্মগ্রহন করেন। ৯০বছর বয়সে তিনি অনেক জেমস বন্ড দেখেছেন। তবে তার মতোন কেউ সৃষ্টি হবে কিনা এ নিয়ে নির্মাতাদের মধ্যেও নানা সংশয় রয়েছে।###২৭.৯.২০

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.