--- বিজ্ঞাপন ---

আর্মেনিয়ার ২৩০০ সেনা হতাহত, ১৩০ ট্যাংক ধ্বংস ?

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম##

চলমান আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াযুদ্ধে আর্মেনিয়ার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৩০ ট্যাংক, ২,৩০০ সৈন্য হতাহত করেছে বলে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও আর্মেনিয়ার কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি। যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। দু’দেশের কেউও শান্তি আলোচনা নিয়ে রাজি হচ্ছে না বলে জানা গেছে। রুশ বার্তা সংস্থা ও আল জাজিরা বলছে আজারবাইজান যে রিপোর্ট দিচ্ছে তাতে বলা হচ্ছে গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে আজারবাইজানের হোমলায়  আর্মেনিয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রকাশিত এ তথ্যের ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি বলে উল্লেখ করেছে আল জাজিরা।

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ ৫ম দিন গড়ালো।  এরই মধ্যে আজারবাইজান এপর্যন্ত আর্মেনিয়ার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৩০০ সিস্টেমস সহ ২,৩০০  সৈন্য হতাহত করেছে বলে দাবি করেছে । জানা গেছে, রুশ নির্মিত আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমস এস-৩০০ যুদ্ধের তীব্র সংঘর্ষস্থল কারাবাখ এলাকায় নিশ্চিহ্ন করা হয়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরটি ও ইরানের পার্স বার্তা সংস্থা আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আরও জানায়, আর্মেনিয়ার ১৩০টির মত ট্যাংক ও ২০০ গোলন্দাজ কামানও ধ্বংস করেছে আজারবাইজানের সৈন্যরা। আর্মেনিয়ার দখলকৃত নগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের এক কর্মকর্তা ৮০ জন সৈন্য খোয়া যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে রুশ বার্তা সংস্থাটি জানায়। এদিকে একটি তুর্কী এফ-১৬ বিমান কারাবাখে আর্মেনিয়ার  ১টি সুখোই-২৫ জঙ্গী  বিমান ভুপাতিত করেছে বলে ইয়েরেভান মঙ্গলবার  যে দাবী  করেছে বাকু ও আংকারা উভয় দেশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করেছে। তুরস্ক বলছে এটি আর্মেনিয়ার  প্রোপাগান্ডা মাত্র।

06:35 GMT –  2,300 Armenian soldiers ‘neutralised’: Azerbaijan defence ministry

At least 2,300 Armenian soldiers have been killed or wounded by Azerbaijani troops since the conflict between the two countries began on Sunday, Azerbaijan’s defence ministry has said, according to an Anadolu Agency report.

Al Jazeera was not able to independently identify these numbers.

The ministry statement added that 130 tanks and armoured vehicles, more than 200 artillery and missile systems, approximately 25 air defence systems, six command and observation zones, five ammunition depots, 50 anti-tank guns and 55 cars were also destroyed.

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ই্উনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার প্রাক্কালে আজারবাইজান ৯১’র  আগস্টে এবং আর্মেনিয়া সেপ্টেম্বরে স্বাধীন দেশ হিসেবে  আত্নপ্রকাশ করে। সেসময় নগর্নো-কারাবাখ নামক ৪,৪০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল এবং সেখানে বসবাসরত প্রায় ১লক্ষ ৪৭ হাজার খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ  মুসলিম সংখ‌্যাগরিষ্ঠ আজারবাইজানের ভাগে পড়ে যায়। তখন থেকে তারা স্বায়ত্বশাসনের দাবী জানাতে থাকে। এ সুযোগে আর্মেনিয়া আচমকা এক ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে আজারবাইজানের একটি করিডোর অঞ্চল দখলে নিয়ে নগর্নো-কারাবাখে প্রবেশ করে এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত  দীর্ঘ ৪ বছরের  যুদ্ধে ঐ এলাকাসহ আজারবাইজানের ২০ শতাংশ অঞ্চল দখল করে নেয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয়। ঐ  যুদ্ধে ৩০ হাজার প্রাণহানি ও ১০ লক্ষ মানুষ গৃহহীণ হয়। নিরাপত্তা পরিষদের চার দফা প্রস্তাব অনুযায়ী আজারবাইজানের দখলকৃত নগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল  সে দেশকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলা হলেও নানা টালবাহানায় আর্মেনিয়া অদ্যাবধি দখলিকৃত ঐ এলাকাগুলো থেকে সরে আসেনি। যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালে গঠিত অপর আন্তর্জাতিক সংস্থা ওএসসিই ( অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কোঅপারেশন অব ইউরোপ ) মিনস্ক গ্রুপ  ( রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স এই গ্রুপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করে আসছে)  সংগঠনটি দুদেশের বিরোধ মিমাংসার দায়িত্ব নেয়। কিন্তু এতদিনেও তারাও কোন ফলপ্রসূ কিছু করতে ব্যর্থ হয়। ফলে দুদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা লেগেই আছে। একের পর এক যুদ্ধ বেধে চলেছে।###১.১০.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.