--- বিজ্ঞাপন ---

রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তত ভাসানচর

ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, আধুনিক শহরে রূপান্তরের লক্ষে চলছে কাজ

0

বিশেষ প্রতিনিধি ##

রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তত এখন ভাসানচর। সব রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য আধুনিকভাবে তৈরি করে এ চরটি। কিন্ত রোহিঙ্গারা এখনও আসতে চাইছে না। রোহিঙ্গাদের সাথে সাথে এখানে জাতিসংঘের যেসব কর্মকর্তা এ প্রকল্পের সাথে জড়িত তাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা রেখেছে। সোলার সিসটেম থেকে বিদ্যুতসহ শহরাঞ্চলের সব সুবিধা এখানে রয়েছে। ধীরে ধীরে এটাকে একটি আধুনিক শহরে রূপান্তরের লক্ষ্য সেনা ও নৌ-বাহিনী আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা।  শুধু তাই নয়, ভাসানচরে নৌ-বাহিনীর অফিস ও হেলিপ্যাডও নির্মান করা হবে। সরকার কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের এখানে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়া হলেও অভিযোগ রয়েছে কতিপয় এনজিও এর বিরোধীতা করছে। তাদের ফাদেঁ পা দিয়ে রোহিঙ্গা নেতারাও ভাসানচরের ব্যাপারে উৎসাহ দেখাচ্ছে না। তবে সাধারন রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ যেতে চাইছে। সরকার এখন তাদের তালিকা নিয়ে এগুচ্ছে বলে সূত্র জানায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাবে কি যাবে না এ নিয়ে সরকার ও রোহিঙ্গাদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা অভ্যন্তরীন দ্ব›দ্ব। সরকার চাইছে দ্রুত রোহিঙ্গারা ভাসানচরে স্থানান্তর হোক। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি এটা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কিছু এনজিও, ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত কিছু রোহিঙ্গা নেতা, রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে যারা লাভবান হচ্ছেন এমন কিছু ব্যক্তি ভাসানচরে না যাওয়ার জন্য নানা অপকর্ম শুরু করেছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গার ভেতরে থেকে একটি গোষ্টি নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। মানবপাচার থেকে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা সবকিছু চলছে ঐ গোষ্টির ইশারায়। ভাসানচরে গেলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে এ আশঙ্কায় তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্টির মধ্যে নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। তারপরও ভাসানচরের পক্ষে রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনমত বাড়ছে। যাযাবর জীবন বাদ দিয়ে অনেকে ভাসানচরে স্থায়ী হতে চাইছেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিন দিন বেড়েই চলেছে। কক্সবাজারের পুলিশ এখন কক্সবাজারের সাধারন মানুষের জন্য কাজে লাগছে না। তাদের যত টেনশন রোহিঙ্গাদের নিয়ে। তবে কক্সবাজারের পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ থেকে প্রায় ১৪০০ পুলিশের গণবদলীতে পুলিশ প্রসাশনের কর্মকান্ড আরও আগোছালো হয়ে রয়েছে। নতুন যারা দায়িত্ব নিয়েছিন তারাও বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কিভাবে তারা এ পরিস্থিতি সামাল দেবে। তবে প্রতিদিন যে অপরাধ বাড়ছে তা কক্সবাজার পুলিশের প্রদত্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে। সূত্র জানায়, ‘২০১৭ সাল হতে রোহিঙ্গাদের অপরাধ বাড়তে থাকে। এ সময় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৭৬টি, ১৫৯ জন রোহিঙ্গাকে আসামী করা হয়। ২০১৮ সালে মামলার সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ২৩৮টিতে। আসামী হয় ৪১৪ জন। ২০১৯ সালে মামলা বেড়ে দাড়ায় ২৬৩ তে। আসামী করা হয় ৬৫০ জনকে। আর ২০২০ সালের ৭ মাসে ২০৪ টি মামলা হয়েছে। আসামীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭০৫ জনে। এখনও বছর শেষ হতে কয়েকমাস বাকি।’
কেন যেতে চাইছে না এ প্রশ্নে বালুখালি ক্যাম্পের রোহিঙ্গা অধিবাসী আবদুল জলিল বলেন, আমরা বর্মা (মায়ানমার) যেতে চাই। চরে কোন সুযোগ সুবিধা নেই। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে কিভাবে যাবো। বর্মা সরকার নিতে চাইলে আমরা রাজি।
অপরদিকে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প কুতুপালং। এ কুতুপালংসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে আগ্রহী। তবে তারা ভয়ে মূখ খুলছে না। যারা মায়ানমার যেতে চায় না তারা ভাসানচরে যেতে আগ্রহী। প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হলেও তারা যেতে রাজি। রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটি অংশ নিরাপদ আশ্রয় চাইছে। কোন প্রকার গ্রুপিং যেতে রাজি না। সমস্যা হচ্ছে এরা প্রায় সবাই নিরীহ। রোহিঙ্গাদের ৩২টি ক্যাম্পের যারা নিয়ন্ত্রক তারা বেশিরভাগই ভাসানচরের বিপক্ষে।
কক্সবাজারের সাংবাদিক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে রাজি না হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারন আছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এদের সাথে মায়ানমারের একটি সম্পর্ক রয়েছে। অনেকের আত্মীয় স্বজন মায়ানমারে রয়েছে। তারা এতদিন মুক্ত জীবন যাপনে অভ্যস্ত। রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগের ধারনা ভাসানচরে গেলে তারা বন্দী হয়ে যাবে, বন্দী জীবন কাটাতে ভাসানচরে কেন যাবে। এখানে তারা যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তারা সেখানে এগুলো পাবে না। তদুপরি তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে নানা রকম কথা বলে। অনেক এনজিও, রোহিঙ্গা নেতা রীতিমতো তাদের চাপে রেখেছে।’
রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তত করা হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরকে। মেঘনার মোহনায় জেগে উঠা এ চরটি আকারে বিশাল। সরকারি সূত্রের তথ্য মতে, ২০১৫ সালে ভাসানচরের আয়তন দেখে শরনার্থীদের জন্য আবাসন প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত হয়। সরকার ভাসানচর অধিগ্রহণ করার সময় এখানে কোন জনবসতি ছিল না। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা যখন ব্যাপক আকার ধারন করে তখন সরকার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮ সালের দিকে শুরু হয় নির্মাণকাজ। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র দেড় বছরে চরটিতে এক লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়। চারতলা বিশিষ্ট ১২০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ভবন নির্মান করা হয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয় এবং কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ১ লাখ রোহিঙ্গা থাকতে পারবে। মাটি থেকে প্রায় ৪ ফুট উঁচুতে প্রায় দেড় হাজার টিনশেড ঘর করা হয়েছে যাতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার থাকতে পারেন। নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা বাথরুম রয়েছে। ভাসানচরে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ যোগান থাকবে। পাশাপাশি রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় আয়োজনও করা হচ্ছে। একটি আধুনিক শহরে রূপান্তরের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই ভাসানচরকে কেন্দ্র করে করা হচ্ছে।
যাদের জন্য এত আয়োজন তারা ভাসানচর নিয়ে প্রথমদিকে নানা দ্বিধাদ্ব›েদ্ব থাকলেও পরে তাদের বুঝানো হয়, এটা রোহিঙ্গাদের জন্য শ্রেষ্ট একটি আবাসস্থল হবে। যাতে রোদ, বৃষ্টি ঝড়ে রোহিঙ্গাদের কষ্ট পেতে হবে না। ভাসানচর বাসযোগ্য কিনা, তা দেখতে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে চরটি পরিদর্শন করে। তারা সেখানে গড়ে তোলা অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ হয়। রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্য মোস্তফা কামাল ভাসানচর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ভাসানচর দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছে। সেখানে কৃষি ক্ষেতসহ মৎস্য চাষও করা যাবে। পরিবশে চমৎকার। তারা সেখানে থাকতে পারবে।’ কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ ৩৪টি শিবির থেকে এক লাখ শরণার্থীকে ভাসানচরে নেওয়ার জন্য রাজি করাতে দুই নারীসহ ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতাকে ভাসানচর দেখিয়ে আনা হয়। ঘুরে আসার পর তাদের কথায় সরকারের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। অন্তত রোহিঙ্গাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে ভাসানচরে। কিন্ত তারা ক্যাম্পে গিয়ে মত বদলে ফেলে। জানা গেছে, কতিপয় এনজিও ও স্বার্থান্বেষি মহলগুলোর চাপে তারা মত বদলায়। তাদের মধ্যে ভাসানচরে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে দ্ব››দ্ব দেখা দেয়। যারা গেছেন তাদের মধ্যেও দু’গ্রপ হয়ে যায়। সাধারন রোহিঙ্গারা যেতে চাইলেও ভেতর থেকে তারা যাতে রাজি না হয় সে চেষ্টা চলে।
জানা গেছে, জাতিসংঘ প্রতিনিধিসহ অনেকে এখন ভাসানচর যাওয়ার লাইনে আছেন। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের একটি দলও ভাসানচর ঘুরে এসেছেন। গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সফরকালে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল ভাসানচর প্রকল্প নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রতিনিধিদলে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজে তিরিঙ্ক কর্মকর্তাদের বলেছেন, সা¤প্রতিক সময়ে ভাসানচরে ‘গো অ্যান্ড সি’ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে সেখানে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত প্রযুক্তিগত ও সুরক্ষা বিষয়ক মূল্যায়নের বাস্তবায়ন জরুরী এবং ইতিমধ্যে সেখানে স্থানান্তরিত ৩০৬ শরণার্থীর পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি পৃথক মানবিক ও সুরক্ষা বিষয়ক মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিরিঙ্ক।
এদিকে গত মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা এখন সেখানে আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮৬ জন নারী, ৯৬ জন পুরুষ এবং ২৪ জন শিশু। ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের দেখভাল করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্র জানায়, ভাসানচরে যাওয়ার পক্ষে রোহিঙ্গাদের মধ্যে জনমত বাড়ছে। বিভিন্ন এনজিও তাদের নিজেদের আরাম আয়েশের জন্য সেখানে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর বিষয়ে নেতিবাচক ধারনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। তারা চিন্তা করছে ভাসানচরে সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যটন শহর কক্সবাজারের মতো আরাম-আয়েশ ও সুবিধাজনক পরিবশ নেই। তাই এখন রোহিঙ্গারা মনে করছে, তৃতীয় কোন পক্ষের সুবিধার দায় তারা কেন নেবে। অনেকে এখন নিজেদের কল্যাণে ভাসানচরকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিতে চাইছে।
জানা গেছে, ভাসানচরকে আরো উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। গত ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ভাসানচরের জন্য নেওয়া প্রকল্পের খরচ ৭৮৩ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ভাসানচরকে রক্ষার জন্য বাঁধের উচ্চতা বাড়িয়ে ১৯ ফুট করা, বিদেশী প্রতিনিধি বা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য উপযোগী ভবন, পাড় ঘেষে জেটি নির্মাণ, একটি হেলিপ্যাড, প্রয়োজনীয় জ্বালানি ট্যাঙ্ক, বিশাল আকারের সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পুরো প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগুচ্ছে। সার্বিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
সর্বশেষ রোহিঙ্গা শিবির সুত্র জানায়, ভাসানচরে যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের একটি তালিকা তৈরি হচ্চে। ভাসানচর পরিদর্শনে গিয়ে রোহিঙ্গা দল প্রথমে ইতিবাচক কথা বললেও পরে কেন তারা নেতিবাচক হলো তার কারনও খুজেঁ দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ে একটি দল শীঘ্রই ভাসানচর যাবেন বলেও জানা গেছে।
সরকারের প্রত্যাবশন কমিটির কর্মকর্তারা ক্যাম্পে ক্যাম্পে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে নিজেদের মোবাইলে থাকা ভাসানচর আবাসন ব্যবস্থার ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। সাধারণ রোহিঙ্গাদের সেখানে যেতে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। রোহিঙ্গা নেতারা যা দেখে এসেছেন তা তাদের বুঝানো হচ্ছে। সাড়া মিলছে ইতিবাচক। তবে বিপুল পরিমান রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে এখনও রয়েছে নানা মত। কেউ যেতে চায় মিয়ানমার, কেউ থাকতে চাইছে কক্সবাজারে আবার কেউ কেউ চাইছে এভাবে যাযাবর জীবন বাদ দিয়ে ভাসানচরে স্থায়ী হতে। ### ১৬.১০.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.