--- বিজ্ঞাপন ---

আজারবাইজানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী আনা

নিয়েছেন শারিরীক ও অস্ত্র প্রশিক্ষনও

0

বিশেষ প্রতিনিধি ##

যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী আনা হাকোবিয়ান। নিজের ফেসবুক পেজে দেশরক্ষার আন্দোলনে শরিক হবার ইচ্ছা পোষন করে বার্তা দিয়েছেন বিশ্ববাসির কাছে। এর মধ্যে নিজের গ্রুপে যোগ করেছেন আরও ১৩ নারীকে যারা তার সাথে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। এর মধ্যে ট্রেনিংও নিয়েছেন দু’বার। পেশাগতভাবে সাংবাদিক আনার দেশপ্রেম নিয়ে এরই মধ্যে সবাই বাহবা দিচ্ছেন।

ভারতীয় আনন্দবাজার সুত্রে জানা যায়, শত্রুর হাত থেকে দেশের মাটি রক্ষা করতে যুদ্ধে যাচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। এমনই নজির তৈরি করতে চলেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের স্ত্রী আনা হাকোবিয়ান। ৪২ বছরের আনা নিজেই জানিয়েছেন, আজারবাইজানের সঙ্গে চলা যুদ্ধে দেশের হয়ে লড়বেন তিনি। ১৩ জনের মহিলা দলে তিনিও যে রয়েছেন তা জানিয়ে ফেসবুকে আনা লিখেছেন, ‘১৩ জন মহিলা ব্রিগেডের অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই আমি সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছি।’

নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘাত পুরনো। এখন সেই ইস্যুতেই চলছে লড়াই। এ বার সেই লড়াইয়ে অংশ নিতে তৈরি আনা গত ২৬ অক্টোবর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের মাটি কিংবা সম্মান কোনও কিছুই শত্রুর হাতে তুলে দিতে পারব না। কিছু দিনের মধ্যেই আমরা দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য রওনা দেব।’ শুধু প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবেই নয়, আনার পরিচিতি ‘হাইকাকান ঝামানাক’ নামে একটি সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক হিসেবেও। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান চালান। আর্মেনিয়ার ‘উইমেন ফর দ্য পিস’ আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত আনা।শুধু নিজে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তৈরি হওয়াই নয়, দেশবাসীর উদ্দেশেও সীমান্ত রক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আনা। ফেসবুকেই তিনি লিখেছেন, ‘দেশের মানুষের পক্ষে এটাই এগিয়ে আসার সময়। বিশ্বকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় যে, আর্মেনিয়ার পুরুষরা দেশ রক্ষা করতে জানেন। স্ত্রী, সন্তান, পরিবারকে রক্ষা করতে জানেন।’কিছুদিন আগেই আজারবাইজানের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য দেশবাসীকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর ছেলে অ্যাশট পাশিনিয়ানও সম্প্রতি যুদ্ধে যোগ দিতে যান। ২০০০ সালে জন্ম নেওয়া অ্যাশট কিছুদিন আগেই বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।

এদিকে ডেকান হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আনা ইতিমধ্যে সামরিক প্রশিক্ষন নিয়েছেন। শারিরীক ও অস্ত্র প্রশিক্ষন নিচ্ছেন গত আগষ্ট থেকে। তার সাথে গ্রুপের ১৩ সদস্যও প্রশিক্ষন গ্রহণ করছেন।’

আনা সত্যিই যুদ্ধে যাবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে এরই মধ্যে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য অস্ত্র তুলে নিতে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য ১৯৯০ সাল থেকে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দু’দেশের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।### ২৯.১০.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.