--- বিজ্ঞাপন ---

আজারবাইজানের কাছে পরাজয় মেনে নিল আর্মেনিয়া

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চুক্তি

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ##

অবশেষে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে আর্মেনিয়া আজারবাইজানের দখলকৃত নগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে যেতে রাজী হল। নগার্নো-কারাবাকের রাজধানী খানকেন্দি (স্টিফানাকার্ট)-র কয়েক মাইলের মধ্যে আজারবাইজানের সৈন্যরা পৌঁছে যাওয়ায় নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে রাশিয়ার  প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের দাবী মোতাবেক ঐ অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধসহ অন‌্যান‌্য দাবি মেনে নেয়। গত রোববার আজারবাইজানের সৈন্যরা রাজধানীমুখী গুরুত্বপূর্ণ শুশা শহরটি দখলে নেয়ার পর স্টেফানাকার্টের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র ধরে নিয়েছিলেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

অবশেষে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সাথে বিতর্কিত নগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে দেয়াসহ অন‌্যান‌্য দাবী মেনে নিয়ে  চুক্তি করতে বাধ্য হয় আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যস্থতায় অবশেষে সোমবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের দাবী মেনে নগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে দেয়াসহ  স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । নিউইয়র্ক টাইমস এর সংবাদদাতা এ্যান্ড্রু ই. ক্রেমার জানান, যুদ্ধে পরাজয়ের মুখে এ চুক্তি মেনে নেয়া ছাড়া আর্মেনিয়ার আর কোন পথ খোলা ছিলনা। এটা আর্মেনিয়ার জন‌্য চরম পরাজয়। আর আজারবাইজানের বিজয়।

ইলহাম আলিয়েভ

চুক্তি মোতাবেক নগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে চলে যাবে আর্মেনিয়ার সৈন্য। চুক্তিটি বলবৎ হতে শুরু করেছে বলে সংবাদ সংস্থাসমূহ খবর দিয়েছে। আজারবাইজান যুদ্ধে তাদের এলাকা পুনরুদ্ধারের পর চুক্তিটি যুদ্ধে তাদের বিজয় বলে দেশব্যাপী আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। অপরদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর এক বার্তায়  এই চুক্তি মোতাবেক নগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানান। চুক্তির বিস্তারিত এখনও প্রকাশ না হলেও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে  আর্মেনিয়ার সাথে নগার্নো কারাবাখের সীমান্ত জুড়ে রাশিয়ার শান্তিরক্ষী মোতায়েন থাকবে। আজারবাইজান বলছে সেখানে তুরস্কের শান্তিরক্ষীও থাকবে।

নিকোল পাশিনিয়ান

চুক্তির ব‌্যাপারে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সেদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে পাশিনিয়ান বক্তব্যে বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার এবং আমাদের সকলের জন্য খুব কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভেনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়ান টেলিভিশন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, জনতা সরকারী ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দরজা থেকে পসিনিয়ানের নামফলক ছিঁড়ে ফেলে###৯.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.