--- বিজ্ঞাপন ---

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত -পাকিস্তান সংর্ঘষে ১৫ জন নিহত

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##

ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর সীমান্তে আবারও সীমান্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্র জানায়, উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে মারা গেছে ১৫ জন। আহত হয়েছে ৩০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনই সাধারন মানুষ বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কত জন আহত নিহত হয়েছে এ নিয়ে উভয় দেশের লুকোচুরি আছে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান সেনাদের আচমকা হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা হামলা চালালে ৮জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। ভারতীয় পত্রিকা সেনা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “নিহত পাকিস্তান সেনার সৈন্যদের তালিকায় ৩ জন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) কমান্ডো রয়েছে।ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই শুক্রবার জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) জুড়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের চেষ্টাকালে শনিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা গোলাবর্ষনে কমপক্ষে ৮ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে। এএনআই সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে ১০-১২ জন পাকিস্তানী সৈন্য আহত হয়েছে। এতে প্রচুর সংখ্যক পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্কার, জ্বালানি ডাম্প এবং লঞ্চ প্যাডও ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় সেনা সূত্র আরও জানায়, তিন ভারতীয় সেনা ও তিন জঙ্গী নিহত হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন পরে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটেছে।

 

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা সেনা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, পাল্টা হামলায় বেশ জনা দশেক পাক সেনা ও জঙ্গি নিহত হয়েছে।ভারতীয় বাহিনীর গোলায় পাক বাঙ্কার এবং জ্বালানি ট্যাঙ্ক ধ্বংসের একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়েছে। সেনার দাবি, শীতের আগে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই হামলা চালিয়েছে পাক ফৌজ।শুক্রবার সকালে উরি সেক্টরের গাজি পির এলাকাতে দু’তরফের মধ্য গুলির বিনিময় হয়।বন্দিপোরা জেলার গুরেজ সেক্টরে এবং কূপওয়াড়া জেলার কেরন সেক্টরেও পাক হামলার জবাবে গুলি এবং মর্টার শেল ছোড়ে ভারতীয় বাহিনী।জম্মুর পুঞ্চের সজিয়াঁতেও সংঘর্ষ বিরতি ভেঙে হামলা চালায় পাক বাহিনী। সেখানে জখম হয়েছেন ৭ গ্রামবাসী। ভারতীয় সেনা এবং বিএসএফের তরফে পাক হামলার ‘জবাব’ দেওয়া হয়।গত শনিবার একই কায়দায় নিয়ন্ত্রণরেখায় মছিল সেক্টরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ‘পথ’ তৈরির উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল পাক বাহিনী।ওই ঘটনায় এক বিএসএফ জওয়ান এবং তিন সেনা নিহত হয়েছিলেন।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উরির সেনা ঘাঁটিতে অনুপ্রবেশকারী পাক জঙ্গিদের হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।

অপরদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে সর্বশেষ সেদেশের দৈনিক ‘ডন’ পত্রিকা জানিয়েছে, বিনা উস্কানিতে শুক্রবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের নিলম উপত‌্যকাসহ গোটা নিয়ন্ত্রন রেখা জুড়ে বেসামরিক এলাকা লক্ষ‌্য করে ভারতীয়  সেনারা মটর ও ভারী  কামান ও অন‌্যান‌্য অস্ত্রের সাহায‌্যে ব‌্যাপক গোলাবর্ষন করে। এতে ৫ জন বেসামরিক নাগরিক ও ১ সেনা সদস‌্য নিহত হয়েছেন।  ৫ জন সেনাসহ আহত হয়েছেন ৩০ বেসামরিক মানুষ। গোলায় বহু ঘরবাড়ী ধ্বংস হয়েছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) কিংবা বাংকার ধ্বংস করার ভারতীয় দাবির ব‌্যাপারে কিছু বলেনি। তবে এর  আগে সেদেশের ইংরেজী দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা সেদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর উদ্বৃতি দিয়ে শুক্রবার জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে ভারতীয় বাহিনীর অনবরত গোলাবর্ষণে তাদের একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং ২ মহিলাসহ তিন জন আহত হয়েছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে পাল্টা গোলাবর্র্ষন করে হামলার জবাব দেয়। এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে ,ভারত নিয়ন্ত্রণ সীমান্ত বরাবর ভারী কামানের গোলাবর্ষৃন, মর্টার এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে বেসামরিক জনবহুল অঞ্চলগুলিকে ক্রমাগত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে চলেছে।এতে বলা হয়, চলতি বছর ভারত ২,৬৬০ বারেরও বেশী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এবং একে “আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করে আঞ্চলিক শান্তি ও সুরক্ষার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করা হয়েছে ঐ বিবৃতিতে। ###১৩.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.