ইরানের পরমানু প্রকল্পে হামলার টার্গেট ছিল ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক#
ইরানের পরমাণু প্রকল্প আক্রমণ করার জন্য মতামত চেয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন কর্মকর্তারা বিস্তারে তা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আলোচনা করেও পিছিয়ে যান ট্রাম্প। ইরানের পরমাণু প্রকল্প আক্রমণের নির্দেশ তিনি আর দেননি। মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ইরানের পরমাণু প্রকল্পে হানা দেয়া নিয়ে যাবতীয় বিকল্প ট্রাম্প একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জানতে চান। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প যে আর এগোননি, তার কারণ, পরামর্শদাতারা তাকে বোঝান যে, এই হামলার পর সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প বিকল্প চেয়েছিলেন। তাকে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি আর না এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন। হোয়াইট হাউস অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইরান নিয়ে আক্রমণাত্মক নীতি অনুসরণ করেছেন ট্রাম্প। তার নির্দেশে মার্কিন ড্রোন হানায় ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেইমানির মৃত্যু হয়েছিল। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে জাতিসঙ্ঘের সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার একদিনের মাথায় তিনি আক্রমণের কথা ভেবেছিলেন।
ঘটনা হলো, আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে ট্রাম্পকে। যদি না তার আগে সুপ্রিম কোর্টে তিনি যান এবং অচলাবস্থা তৈরি হয়। ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মানছেন না। বাইডেনকেও এখনো সরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়নি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাইডেন জালিয়াতি করে জিতেছেন। তাই এই ফল তিনি মানবেন না। তিনি এর মধ্যেই এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন, যার ফল সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য।#ডয়চে ভেলে