--- বিজ্ঞাপন ---

নিউজিল্যান্ডের প্রথম হিজাবধারী পুলিশ জিনা আলী

0
আব্দুল্লাহ আরাফাত ##
বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ হওয়া সত্ত্বেও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র অর্ধ কোটির একটু বেশী। শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বহুকাল বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হলেও   ক্রাইস্টচার্চ এক মসজিদে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর নিউজিল্যান্ডের বিস্তৃত পরিচিতি সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের উদারপন্থী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান ও পাদপ্রদীপের আলোয় দ্রুত চলে আসেন। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার সরকার সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের পুলিশ প্রশাসনে নারীদের হিজাব পরিধান করার অনুমোদন দিয়েছেন। এটিকে বলা হচ্ছে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে। পুলিশের প্রথম নারী কর্মকর্তা হিসেবে হিজাব পরিধানের গৌরব অর্জন করেছেন ফিজিয়ান বংশোদ্ভূত জিনা আলী (৩০)৷ জিনা আলী বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর তার পুলিশ প্রশাসনে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল এবং মুসলিম সম্প্রদায়ে এই গৌরবময় ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা পোষণ করেন।

নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, সেকেন্ডারি পুলিশ স্কুল পরিদর্শনের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের সুপারিশের পর ২০১৮ সাল থেকেই ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব সংযুক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করে। নিজের পোশাকের অংশ হিসাবে প্রথম হিসাব ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন কনস্টেবল আলী। এরপর এই পোশাকের চালু করার কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কনস্টেবল আলী ফিজিতে জন্মগ্রহণ করার পর শিশু অবস্থায় নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইস্ট চার্চ সন্ত্রাসী হামলার পরে তিনি পুলিশে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জিনা আলী গণমাধ্যমকে বলেছেন ”আমি উপলব্ধি করতে শুরু করলাম, মানুষকে সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে আরও বেশি মুসলমান নারীদের অংশগ্রহণ করা উচিত। নিউজিল্যান্ড পুলিশ বাহিনীতে আমার পোশাকের অংশ হিসাবে হিজাব তুলে ধরতে পারায় আমার খুব ভালো লাগছে। আমার বিশ্বাস, এটা দেখে এখন আরও বেশি মুসলমান নারী পুলিশে যোগ দিতে চাইবেন।”

ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর নিউজিল্যান্ড সরকারের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়ে ছিল। সংহতি পোষণ করেছিল বিভিন্ন ধর্মের লোকেরাও।  সূত্রঃ নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড/বিবিসি
আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.