--- বিজ্ঞাপন ---

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে নেই চীন-ভারত

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এ কথাটি বিশ্বাস করলেও বিশ্বাসের খাতায় নেই বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো। চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে ১৮ নভেম্বর। যথারীতি মিয়ানমারকে খুশি করতে চীন ভোট দেয় প্রস্তাবটির বিপক্ষে। আর ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাও ভোট দানে বিরত থাকে। তারপরও ১৭২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাশে দাড়ায় ১৩২ টি দেশ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সুত্র জানায়, ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে রেজুলেশনটি উত্থাপন করে। ১০৪ টি দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় এ রেজুলেশনটি পেশ হয়। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘন করেছে রেজুলেশনটির পক্ষে ভোট দেয় ১৩২টি দেশ, বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি। আর ভোট দানে বিরত থাকে ৩১টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশগুলো হলোঃ রাশিয়া, চীন, মিয়ানমার, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়ে ও লাওস। ভোট না দেয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত, সার্কভুক্ত নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলাসহ আরও কয়েকটি দেশ।

এবারের রেজুলেশনটিতে অনেক নতুন বিষয় উঠে এসেছে। যেমন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সাময়িক আদেশ, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের তদন্ত শুরুর বিষয় এবং রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘুদের মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে বঞ্চিত করা ইত্যাদি।

তাছাড়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ সমস্যাটির মূল কারণ খুঁজে বের করা, প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত, প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মতো সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে মিয়ানমারকে জোর তাগিদ দিয়ে ২০১৭ সালের শেষদিকে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। পরিষদের সামাজিক, মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক ফোরাম, থার্ড কমিটির ৪৭তম বৈঠকে আলোচনা শেষে সদস্য দেশগুলোর ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, নাগরিকত্ব প্রদান, অনতিবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করাসহ মিয়ানমারের প্রতি ১৬টি সুনির্দিষ্ট আহ্বান জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২য় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।  এটিকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ। এ সংকটে নীরব ভূমিকার জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হন দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.