--- বিজ্ঞাপন ---

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বিদায়কালে ইরানকে হুমকি দিলেন

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমেরিকা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।ট্রাম্পের পতনের পরও তার সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানকে হুমকি দয়ে বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টেবিলে সব অপশন রয়েছে। ইসরাইলের দৈনিক পত্রিকা ‘জেরুসালেম পোস্ট’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই হুমকি দেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের দৈনিক পত্রিকা ‘জেরুসালেম পোস্ট’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে পম্পেও আরও বলেন, গত চার বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা এই নীতি অনুসরণ করে এসেছে এবং এই নীতির পরিবর্তন হওয়ার কোনো কারণ নেই।, আমার মূল্যায়ন এবং ইতিহাস তাই বলবে যে, আমরা এ ব্যাপারে খুবই সফল হয়েছিলাম।”

ইরানবিরোধী ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কথা উল্লেখ করে পম্পেও বলেন, “আমি স্মরণ করতে পারি ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অনুসরণের শুরুর দিকে আমরা পরমাণু সমঝোতা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম এবং তখন বিশ্ব বলেছিল ইরানের বিরুদ্ধে শুধু আমেরিকার চাপ কার্যকর হবে না। কিন্তু এই চাপের কারণে ইরান বিশ্বব্যাপী ক্ষতিকর তৎপরতা কমাতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ইরান আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে কোন অর্থের চালান গ্রহণ করতে পারবে না। এটি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন ছিল এবং এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কাছে বার্তা গেছে।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের বিরুদ্ধে এমন সময় এই হুমকি দিলেন যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিদায় নিতে যাচ্ছে এবং পম্পেও নিজেও বিদায় নেবেন।

সূত্র জানায়, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে ১২টি শর্ত আরোপ করেছিলেন তার একটিও পূরণ হয়নি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।  ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসতে ১২টি শর্ত আরোপ করেছিলেন। অথচ ইরান ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই রাজি হয়নি এবং এর ফলে পম্পেওর ১২টি শর্তই অধরা রয়ে গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে একতরফাভাবে বের করে নেয়ার পর তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এ অবস্থায় ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এজন্য মাইক পম্পেও তেহরানকে ১২টি শর্ত বেধে দেন। এসব শর্তের মধ্যে ছিল, ইরানকে তার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামীদের প্রতি তেহরানকে সমর্থন বন্ধ করতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন আশা করেছিল, ইরান সরকার দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের স্বার্থে এসব শর্ত মেনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।

কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তেহরান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, চাপের মুখে দেশটি আলোচনায় বসবে না; বরং মার্কিন সরকারকে আগে পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে হবে এবং তার না ফেরা পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না। সূত্রঃ পার্স টুডে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.