--- বিজ্ঞাপন ---

অশান্ত ইথিওপিয়া

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক##
ইথিওপিয়ার টিগ্রে এখন সেনার দখলে। গত শনিবার টিগ্রের রাজধানী মেকেলেতে ঢোকে সেনাবাহিনী। সরকারের দাবি, টিপিএলএফের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিয়ে সেনা মেকেলে দখল করে নিয়েছে। টিগ্রের লড়াইয়ে ইতোমধ্যে কয়েকশ মানুষ মারা গিয়েছেন।

অন্ততপক্ষে ৪৪ হাজার মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য সুদানে পালিয়ে গেছেন। এই উদ্বাস্তুদের কাছে খাবার পৌঁছতে ও মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংগঠন। ফোন ও ইন্টারনেটের অবস্থাও খুবই খারাপ। সরকার এখনো সাংবাদিক বা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের টিগ্রে যেতে দিচ্ছে না।

এই অবস্থায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদের কাছে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(টিপিএলএফ) দাবি করেছে, অবিলম্বে মেকেলে থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। সংবাদসংস্থা এপি-কে ফোনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টিপিএলএফ নেতা ডেব্রিটসন জেব্রিমাইকেল। তার দাবি, অবিলম্বে টিগ্রে থেকে সেনা সরাতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, তিনি মেকেলের কাছেই আছেন। ইথিওপিয়ার সেনা টিগ্রেতে গণহত্যা চালিয়েছে। তবে তাতেও লাভ হবে না। শেষ পর্যন্ত টিগ্রের মানুষের জয় হবে। গত এক মাস ধরে টিগ্রে বিচ্ছিন্ন। ফোন ও ইন্টারনেট সেবা নেই বললেই চলে। ফলে সরকার বা টিপিএলএফ কারো দাবিই যাচাই করে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। উত্তর ইথিওপিয়ার ইরিত্রিয়া ও সুদান ঘেঁষা এলাকায় এতদিন টিপিএলএফেরর শাসন চলত। এই এলাকায় সুদান ও ইরিত্রিয়ার প্রভাবও ছিল খুব বেশি। দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করা ইথিওপিয়ান পিপলস রেভলিউশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইপিআরডিএফ)-এর উপরেও তাদের প্রভাব ছিল। এই ফ্রন্টের ২৭ বছরের রাজত্বে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ছিল। কৃষিতেও উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু একই জোটের দীর্ঘদিনের শাসন পছন্দ হচ্ছিল না ইথিওপিয়ার যুবকদের।

এই অবস্থায় রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন অ্যাবি আহমেদ। তারপর থেকে শুরু হয় টিপিএলেফকে কোণঠাসা করার কাজ। তারই জেরে টিপিএলএফের ঘাঁটি দখল করার লড়াই শুরু হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বাস টিগ্রেতে। সেনাবাহিনী সেই টিগ্রে টিপিএলএফের দখল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে ডেব্রিটসন জানিয়েছেন, বহিরাগতদের না তাড়ানো পর্যন্ত লড়াই চলবে।

টিপিএলএফ নেতার দাবি, তারা প্রচুর সেনাকে বন্দি করেছেন। আর সেনার হাতে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন। তবে তিনি কোনো সংখ্যা বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, ”প্রচুর সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। গুণে শেষ করা যাবে না।” তার দাবি, ”মেকেলে আমাদের। আমরা এর সম্পদ তৈরি করেছি। শহরকে সমৃদ্ধ করেছি। এখন তা বহিরাগতদের হাতে যেতে দেব না।”##ডয়চে ভেলে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.