--- বিজ্ঞাপন ---

আমেরিকার নতুন এক গ্রীনকার্ড নীতিতে ভারতীয়রা খুশি

নাখোশ হয়েছে চীন

0

কূটনৈতিক প্রতিবেদক ##

আমেরিকার নতুন এক গ্রীনকার্ড নীতিতে ভারতীয়রা খুশি হলেও নাখোশ হয়েছে চীন। সম্প্রতি সিনেটে পাশ হওয়া এ নীতিতে দক্ষ জনশক্তির কদর বাড়তে পারে। আগের তুলনায় শিথিল করা হয়েছে অনেক কিছু। ট্রাম্প সরকারের আমলের অনেক কিছুতে ধোয়াশা থাকলেও ফেয়ারনেস ফর হাই স্কিলড ইমিগ্রেশন এ্যাক্ট নিয়ে ভারতীয়দের মাঝে উচ্ছাস দেখা দিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়,  আমেরিকার সিনেটে পাশ হয়ে গেল ‘ফেয়ারনেস ফর হাই স্কিলড ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট’। এর ফলে হাসি ফুটতে পারে আমেরিকায় গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় থাকা অসংখ্য ভারতীয়ের মুখে। নতুন আইনে কাজভিত্তিক গ্রিনকার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে দেশভিত্তিক যে সংখ্যা ছিল তা শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক, বা কর্মকুশলী অন্য পেশাদারদের গ্রিনকার্ডের জন্য দীর্ঘ লাইন কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ ছাড়া পরিবারের কারও অভিবাসনের জন্য এতদিন দেশভিত্তিক যে ৭ শতাংশ ভিসা দেওয়া হত, সেটা বেড়ে হল ১৫ শতাংশ। ফলে আমেরিকায় বসবাসকারী বিদেশিদের পারিবারের সদস্যদের সে দেশে যাওয়া আরও কিছুটা সহজ হবে।সেনেটর কেভিন ক্র্যামার একাধিক টুইট করে জানিয়েছেন, এই বিল পাশ হওয়ার আগে আমেরিকার শ্রমশক্তির (যাঁদের একটা বড় অংশই অন্যদেশের) একটা বড় অংশ আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁরাই আমেরিকার শ্রমশক্তির সঙ্কট থেকে বের করে এনেছেন দিনের পর দিন। সেই ধরনের হাজারে হাজারে সফটওয়্যার ডেভেলপার, চিকিৎসককে এই বিল একটি নিশ্চয়তা দেবে। কিন্তু বছরের মোট যত সংখ্যক গ্রিনকার্ড ইস্যু করা হয় তাতে কোনওরকম পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। প্রতি বছর ১ লক্ষ ৪০ হাজার গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হয়। সেটা একই থাকছে।

তবে চিনের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে এই নতুন বিলে। সেখানে বলা হয়েছে, চিনের সামরিক বাহিনী বা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা আমেরিকায় কোথাও কাজ করতে পারবেন না।

এইচ-১বি ভিসা সহজ হলো

করোনা-আবহে শুধু আমেরিকানদের জন্যই চাকরির বাজার সংরক্ষিত রাখতে এইচ-১বি ভিসায় বেশ কয়েকটি অন্তর্বর্তী নির্দেশিকায় সই করেছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাল তার মধ্যে দু’টি বাতিল ঘোষণা করলেন ক্যালিফর্নিয়ার ডিস্ট্রিক্ট জাজ জেফরি হোয়াইট।

এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় চাকরি-প্রত্যাশীদের কোটা অনেকটাই ছেঁটেছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, এই ভিসায় বিদেশিদের আনতে হলে আমেরিকান সংস্থাগুলিকে অনেক বেশি বেতন-ভাতা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল তাঁর প্রশাসন। এ নিয়ে ইউএস চেম্বার্স অব কমার্স ও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দায়ের করা মামলার রায় দিতে গিয়ে কোর্ট জানিয়েছে, ভিসা-নীতি কঠোর করার ক্ষেত্রে যে সব কারণ দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে জনমত যাচাই করা হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে বিদেশি নিয়োগের বিকল্প নেই বলেও মত কোর্টের।আমেরিকা প্রতি বছর গড়ে ৮৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা দেয়। তিন বছর মেয়াদ থাকে তার। পুনর্নবীকরণও হয়। এই ভিসায় ভারত, চিন থেকে প্রচুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী আমেরিকায় আসেন। কোর্টের রায়ে তাই ভারতীয়দের পাশাপাশি আমেরিকান সংস্থাগুলিও স্বস্তি পেল।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.