--- বিজ্ঞাপন ---

আমেরিকার চার সাবেক প্রেসিডেন্ট টিকা নিতে প্রস্তত

লক্ষ্য মানুষের মাঝে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্ক দূর করা

0

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আমেরিকাতে করোনায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। নানা রকমের টিকার কথা বলা হচ্ছে কিন্ত মানুষ এগিয়ে আসছে না টিকা নিতে। মানুষের মনে সংশয় কি থেকে কি হয়। আমেরিকার কোম্পানি মর্ডানা এরই মধ্যে করোনা টিকা ৯৫ শতাংশ সফল বলে দাবি করলেও মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হচ্ছে না। এ অবস্থায় মানুষের মন থেকে ভীতি, আতঙ্ক দুর করতে এগিয়ে এসেছেন আমেরিকার চার সাবেক প্রেসিডেন্ট। তারা টিকা নিতে প্রস্তত। বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশের পাশাপাশি ৯৬ বছরের জিমি কার্টারও টিকা নেবেন। এমনকি জো বাইডেনও টিকা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

করোনায় মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলছে আমেরিকায়। এরইমধ্যে ভ্যাকসিন আসার কথা জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই ঘোষণার পরেই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভুগছেন আম-জনতা। তাঁরা মনে করছেন, ভ্যাকসিনে করোনা ঠিক হলেও, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অন্য রোগ স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধতে পারে। তাই জনগণের ওই আতঙ্ক দূর করতে এবার আসরে নামলেন চার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট — জিমি কার্টার, জর্জ বুশ, বিল ক্লিটন ও বারাক ওবামা। চার প্রাক্তনই বললেন, প্রকাশ্যেই প্রতিষেধক নিতে তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন। এমনকী হবু প্রেসিডেন্ট বাইডেনও জানিয়েছেন, পূর্বসূরিদের পথে তিনিও রয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আসেনি। তবে তা শীঘ্রই বিশ্ববাসী হাতে পাবেন বলে নিয়মিত জল্পনা চলছে। এই অবস্থায় করোনা প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করতে এবার হাল ধরলেন প্রাক্তন চার মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশের পাশাপাশি ৯৬ বছরের জিমি কার্টারও প্রকাশ্যে করোনা প্রতিষেধক নেবেন বলে জানিয়েছেন। প্রাক্তন জীবিত মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবথেকে প্রবীণ তিনিই। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কোনও ভয় না পেয়ে এত বয়সেও কার্টার ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষেধক নিয়ে চেয়েছেন। প্রাক্তন চার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য একটাই। মানুষ যাতে বিনা দ্বিধায় প্রতিষেধক গ্রহণ করে করোনার সঙ্গে লড়াই সফল করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাসীর একাংশের মনে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে যে, প্রতিষেধক নিলে করোনা হয়তো হবে না। কিন্তু তার বদলে প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অন্য কোনও রোগ সারা জীবনের জন্য শরীরে দানা বাঁধবে। এবার আমেরিকার চার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, তাঁরা প্রথম প্রতিষেধক নেবেন। যাতে মানুষের মন থেকে প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত ভয় দূর হয়। আর তাঁরা সকলেই প্রকাশ্যে প্রতিষেধক গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রনেতারা যে প্রতিষেধক নিচ্ছেন তা গোটা বিশ্ব দেখতে পাবে। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই করোনার কোপে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ফাইজার এবং মডার্না সংস্থা নির্মিত প্রতিষেধক চলতি মাসের শেষেই বাজারে চলে আসবে। জরুরি পরিষেবার ভিত্তিতে তা প্রয়োগ করা হবে। এই অবস্থায় ওই প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আতঙ্ক করোনা মোকাবিলার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক অনুষ্ঠানে মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যখন এই প্রতিষেধক সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে আসবে, আমি সেটা সবার আগে নেব। মানুষ জানতে পারবেন যে বিজ্ঞানে আমার বিশ্বাস আছে।’
ওবামার পাশাপাশি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও জানিয়েছেন, তিনি অবশ্যই ওই প্রতিষেধক নেবেন। ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা জানান, ‘তিনি আমেরিকাবাসীর কাছেও প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।’ ওবামা, ক্লিনটনের মতো জর্জ ডব্লিউ বুশও প্রতিষেধক নিতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন। বুশের চিফ অব স্টাফ ফ্রেডি ফোর্ড জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসির সঙ্গে বুশ দেখা করবেন। করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ নেবেন। হবু প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সরকার অনুমোদন দিলে তিনিও প্রকাশ্যে ভ্যাকসিন নিতে তৈরি আছেন। আমেরিকার মানুষকে জানানো দরকার এই প্রতিষেধক নিরাপদ।  গত সপ্তাহেই পা ভেঙেছে। চিকিৎসার পর ক্যুইন থিয়েটারে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনকে দু’পায়ে দু’রকম জুতোয় দেখা গেল। ##সূত্র-পিটিআই /বর্তমান

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.