--- বিজ্ঞাপন ---

বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় ফিরেছেন ৫৬৬ ইপিএস কর্মী

0

ওমর ফারুক হিমেল, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে

করোনার তাণ্ডবে বিশ্ববাসী আজ সাপের মুখের ব্যাঙের মতো জীবন-মরণের সঙ্গে লড়াই করছে। গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডবে পৃথিবী পুরোটা স্থবির। জীবনের টানে গৃহবন্দি মানুষের অর্থনৈতিক কার্যক্রমও আজ শূন্যের কোঠায়। করোনার প্রভাবে আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে, ফলে বিশ্বের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের হিসাব গুনছে, অনেকে টিকে থাকার লড়াইয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে শ্রমিক ছাঁটাই করে টিকে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এরই ধাক্কা সইতে হচ্ছে অনুন্নত, উন্নত সকল দেশকে।
বিশ্ব অর্থনীতি আজ বৈশ্বিক মন্দার দ্বারপ্রান্তে। এর প্রভাব দারুণভাবে হিট করেছে প্রযুক্তির মুন্সিয়ানার দেশ কোরিয়াকে, করোনার ফলে কোরিতার অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব চলছে, তা অতীতের যে কোনো মন্দার থেকে কঠিন বলছে খোদ কোরিয়ান । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোরিয়ায় যখন করোনার প্রভাব বাড়তে থাকে তখন নানা সমস্যার কারণে দেশে যান, অনেকেই ছুটিতে গিয়ে আটকে পড়েন।এদের সংখ্যা প্রায় দুইহাজার। দেশে আটকে পড়াদের ফেরাতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ও বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসের ২০২০ ত থেকে এই পর্যন্ত ৫৬৬ জন ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় ফিরতে সমর্থ হয়।

সিউল দূতাবাসের একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিশিক মন্ত্রণালয়, বোয়েসেল ও সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ইপিএস কর্মীরা কোরিয়ায় আসতে সমর্থ হয়। বাংলাদেশে আটকে পড়া কোরিয়ায় ফিরে আসা এইরকম কয়েকজন ইপিএস কর্মী জানান, আটকে পড়ার পরে  কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে আমরা যখনই যোগাযোগ করেছি,তিনি তখনই আমাদেরকে ফেরাতে প্রচেষ্টায় ব্রত ছিলেন। প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে কোরিয়ায় ফেরা কয়েকজন ইপিএস কর্মী জানান, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞ। করোনাকালে কোরিয়ায় ৫৬৬ জন ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় ফিরেছেন নিসন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য সুখবর।উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবস্থানরত রি এন্ট্রির সুযোগ প্রাপ্ত কমিটেড কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরিয়ে আনবার লক্ষ্য সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বাত্নক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.