--- বিজ্ঞাপন ---

তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে

গ্রীস-তুরস্ক বিরোধে ইউরোপিয় ইউনিয়নের হস্তক্ষেপ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##

গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যামান সমস্যায় এবার মাঠে নামছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। গ্রীস ভূমধ্য সাগরে কোন প্রকার ছাড় দিতে রাজি নয়। ভূমধ্য সাগরে তেল ও খনিজ উত্তোলন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে লড়াই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গ্রীস একাধিকবার তুরস্কের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নালিশ জানিয়ে আসছে। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, ভূমধ্যসাগর বিতর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তুরস্কের ওপর। এ বিষয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসতে পারে বৈঠক। ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ বৈঠকে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
ভূমধ্যসাগরের একটি অংশে মিলেছিল খনিজ তেলের সন্ধান। মূলত ওই তেলের খনি নিয়েই গত অগাস্ট মাস থেকে বিতর্ক চলছিল গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে। কীভাবে ওই তেল উত্তোলন করা সম্ভব তা দেখার জন্য জাহাজ পাঠিয়েছিল তুরস্ক। গ্রিস খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া এলাকাটি তাদের দাবি করে তুরস্কের জাহাজ দ্রুত সরিয়ে নিতে বলে। তবে গত চার মাসে কেবল একবারই ভূমধ্যসাগরের ওই এলাকা থেকে তুরস্ক তাদের জাহাজ সরিয়েছিল। পরে আবার তারা ওই এলাকায় তাদের জাহাজ পাঠায়। এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, তেল উত্তোলনের পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। কারো নিষেধ তুরস্ক মানবে না, কারণ ওই এলাকা গ্রিসের নয়।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘ দিন ধরেই ওই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে আসছে। ওই সময় গ্রিসের পাশাপাশি তারাও জাহাজ সরিয়ে নিতে তুরস্ককে অনুরোধ করে আসছিল। কিন্তু তুরস্ক তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেষ্টা করেছিল গ্রিস, তুরস্ক ও সাইপ্রসকে একসাথে বসিয়ে বৈঠক করার, কিন্তু ওই চেষ্টা সফল হয়নি। এ পরিস্থিতিতেই সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
তবে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আবারো বৈঠকে বসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে ফ্রান্স চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক।

এ দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তুরস্কের সাথে অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তেল ও খনিজের উপরেও।
সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, গ্রিসের সাথে বৈঠকে বসতে তিনি রাজি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষটিকে অন্ধের মতো দেখছে। বিতর্কটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আচরণ করছে তা আশাব্যঞ্জক নয়।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.