বঙ্গবন্ধুর নামে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন
মূল্যমান ৫০ হাজার ডলার, ২ বছর পর পর এ পুরস্কার দেয়া হবে
কে পুরস্কার পাবে তা পাঁচ সদস্যের জুরি নির্ধারণ করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে সমাজের অনগ্রসর নারী, অভিবাসী ও প্রবাসী জনগোষ্ঠীর সৃজনশীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছর ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ‘শতবার্ষিকী কর্মসূচি তালিকা’য় অন্তর্ভুক্ত করে সংস্থাটি। মুজিববর্ষে এ পুরস্কার প্রবর্তনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ইউনেস্কো সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত হলো। এর আগে, ইউনেস্কো ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে। এর আগে ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার মাধ্যমেও ইউনেস্কো বাংলাদেশকে সম্মানিত করে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তারঁ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ থেকে একাধিকবার মূল্যায়িত হয়েছেন। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে পার্বত্য শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগ্যতার বহির্প্রকাশ ঘটান। দীর্ঘ দুই দশকের অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ইউনেস্কো তাকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার দেয়। ১৯৯৯ সালে অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ফেদেরিকো মেয়র বলেছিলেন, জাতি গঠনে আপনার পিতার অনুসৃত পথ অবলম্বন করে আপনি দেশকে শান্তি ও পুনর্মিলনের পথে নিয়ে গেছেন। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার উদ্যোগ ও নিষ্ঠা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসাবে ইউনেস্কো ২০১৪ সালে ‘পিস ট্রি’ অথবা ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা শেখ হাসিনার হাতে এই স্মারক তুলে দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি, উপযুক্ত শিক্ষাই পারে একটি মেয়েকে সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে৷ যে কোনো ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহসও শিক্ষাই দিতে পারে৷ আমরা সে কাজটিই করে যাচ্ছি৷’
শেখ হাসিনার মতো বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা এখন বঙ্গবন্ধুর নামে প্রবর্তন করা জাতিসংঘের পুরস্কারটি পাবেন। এ পুরস্কার প্রবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ঝুড়িতে আরও একটি বড় ধরনের সাফল্য অর্জিত হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মত ব্যক্ত করেন।