--- বিজ্ঞাপন ---

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম

অবশেষে মার্কিন ট্রাম্প প্রশাসন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব মুহুর্তে রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ ক্রয় করায় ন্যাটো জোটভুক্ত সহযোগী মিত্র দেশ তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে সোমবার। গত শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের উভয় পরিষদে তুরস্কের বিরুদ্ধে আনীত বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হওয়ার পর  তুরস্কের উপর যেকোন মূহুর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা আসবে এমনটি ধারণা করা হচ্ছিল। মার্কিন সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের উদ্ধৃতি দিয়ে ডিফেন্স নিউজ, রয়টার্স সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা আরোপের  এই সংবাদের কথা  জানায়।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা ও এটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে,  এটি ওয়াশিংটনের একতরফা নিষেধাজ্ঞা। বিবৃতিতে বলা হয় ,তুরস্ক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, যা উভয় দেশের  সম্পর্কের উপর অনিবার্যভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।  এই প্রথমবারের মতো CAATSA নামে পরিচিত আইনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন মিত্র দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব‌্যবস্থা নেয়া হল।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রক আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে  এই  ভুল পদক্ষেপ নেয়া থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে যে আঙ্কারা সংলাপ এবং কূটনীতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।  তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রেসিডেন্সি, দেশের সামরিক শিল্প সংস্থার  প্রধান ইসমাইল ডেমির এবং আরও তিনজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এই  চার কর্মকর্তা ও তাদের মন্ত্রণালয়ের  বিপরীতে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সম্পদ রয়েছে তা  স্থগিত করা  হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা,  রফতানির লাইসেন্স , ঋণ গ্রহণ স্থগিত, এবং এজেন্সিটির ক্রেডিটও  নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে  সূত্রে জানা গেছে, কংগ্রেস প্রায় দুই বছর ধরে গোপনে তুরস্কের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রয়কে এক প্রকার নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল। কংগ্রেসের চার মূল সদস্য ব্যক্তিগতভাবে বা সম্মিলিতভাবে গত প্রায় দুই বছর ধরে তুরস্কে  বড় বড় মার্কিন অস্ত্র বিক্রয় গোপণে নিষ্ক্রিয় করে রেখে আসছিলেন।এর আগে আমেরিকা তুরস্ককে এফ-৩৫ স্টিলথ বোমারু বিমান সরবরাহ স্থগিত করে রাখে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুর্কি নেতা রেজিব  তাইয়িপ এরদোগানের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কয়েক মাস ধরে  শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা বন্ধ  রেখেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.