--- বিজ্ঞাপন ---

করোনার চরম সময়ে চসিক নির্বাচন সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থী, বলছে ক্যাব

0

নিউজ ডেস্ক##

বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বর্তমানে দেশে চলমান রয়েছে। সরকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সতর্কবানী ঘোষনা ও প্রচার করলেও নির্বাচন কমিশন কোন দিকে দৃষ্ঠি নিক্ষেপ না করে মহামারীকে উস্কে দেবার মতো কান্ডজ্ঞানহীন আচরণে লিপ্ত। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বন্ধ রেখেছেন। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে লটারীতে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষাসমুহ বন্ধ রেখেছেন। গণপরিবহন, হাট-বাজার ও সভা-সমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা নিশ্চিতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করছেন। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে অনেকগুলি সভা সরাসরি বাদ দিয়ে অনলাইনে করছেন। এ অবস্থায় আগামি ২৭ জানুয়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌর সভার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা সরকারের করোনা মহামারী সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও সতর্কতার পরিপন্থী বলে মত প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এই তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কান্ডজ্ঞানহীন আচরণের কারনে সাধারণ জনগনের ভোট অধিকার প্রয়োগ মানুষের কাছে হাস্যকর বিষয়ে পরিনত হয়েছে। সেখানে করোনার স্বাস্থ্য বিধি ও সতর্কতাকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভার ভোট গ্রহনের তারিখ ঘোষনা সাধারণ ভোটারদেরকে করোনার মৃত্যু ঝুঁকিতে নিক্ষেপ করার মতো আত্মঘাতি ও অপরিপক্ষ সিদ্ধান্ত। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যেহেতু দেশের বৃহত্তম সিটি করপোরেশন। সেকারনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা, ভোটারদের বাড়ী পরিদর্শন এবং নির্বাচনী সভা, সমাবেশ ও প্রচারণা করবেন বিধায় নগরীর ৭০ লক্ষ নগরবাসী পুরোটাই করোনার প্রবল ঝুঁকিতে পতিত হবেন। তাই অবিলম্বে এই নির্বাচনের তারিখ পেছানো উচিত মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যেহেতু সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন, সেকারনে নির্ধারিত সময় পার হলেও সংবিধান লংগন হবার মতো কোন পরিস্থিতির উৎভব ঘটবে না। আর মানুষের জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনের এই অপরিপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদেরকে করোনার মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলানো মতো পরিস্থিতি শুভকর ও যথার্থ নয়। তাই স্বতঃস্পূর্ত ও অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের স্বার্থে এ ধরণের খামখেয়ালীপনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.