--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রাম ঘুরে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়ান ওয়াগনার

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে আগ্রহ রয়েছে যুক্তরাস্ট্রের

0

যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়ান ওয়াগনার এবং দূতাবাসের সহকর্মীগণ গত ১৩-১৪ ডিসেম্বর, রবিবার ও সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যেকার জোরালো অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রতি সমর্থন জানাতে চট্টগ্রাম সফর করেন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াগনার চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা ও এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ এবং লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন বিষয়ে সফল ব্যবসা পরিচালনাকারী নারী উদ্যোক্তাদের সাথে আলোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপন্ন তুলা ব্যবহারের সম্ভাব্য আরো সুযোগ অন্বেষণের লক্ষ্যে পাহাড়তলি টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস’র পরিচালনাকারীদের সাথে যোগ দেন।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াগনার বন্দরের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদকে বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় আগ্রহী। সভায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই জরিপ, কারিগরী সহায়তা ও পরীক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ন্যায় উচ্চ প্রবৃদ্ধিশালী বিকাশমান বাজারে অবকাঠামো প্রকল্পে সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আগ্রহী। জট কমানো ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোসহ বিশেষ জ্ঞান, দক্ষতা ও ব্যবস্থা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো প্রস্তুত।

এক গোলটেবিল বৈঠকে চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সদস্যরা ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে বলেন, সফলভাবে কোন ব্যবসা পরিচালনা এমনিতেই কঠিন কাজ। তার ওপর উদ্যোক্তা নারী হলে তাকে বাড়তি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। বৈঠকে উদ্যোক্তারা বৈষম্য নিরসন এবং ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে তাদের ব্যবহৃত পন্থাগুলো তুলে ধরেন। তাঁরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নারী স্বত্বাধিকারী ও পরিচালনাকারীদের ক্রমবর্ধমান অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াগনার বলেন, “চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অফ কমার্স’র সৃষ্টিশীল ও নিবেদিত নারীদের কর্মকাণ্ড এবং এতো সংখ্যক প্রতিশ্রুতিশীল নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তাদের সৃষ্ট দৃষ্টান্তগুলো দেখে আমি মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত।” অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উৎসাহিতকরণ এবং নারীসহ প্রথাগতভাবে কম প্রতিনিধিত্বশীল গোষ্ঠীর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

ইস্পাহানি লিমিটেড’র অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পাহাড়তলি টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস বাংলাদেশের অগ্রণী টেক্সটাইল মিলগুলোর অন্যতম। ইস্পাহানি লিমিটেড’র চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানির সাথে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ওয়াগনার বাংলাদেশের নিট ও ওভেন শিল্পে ব্যবহৃত সুতা উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপন্ন তুলা ব্যবহারের সম্ভাব্য সুযোগ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত মানসম্পন্ন পণ্য কীভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি অর্থনীতির জন্য সহায়ক হতে পারে সেটা এই মিলটির মাধ্যমে দৃশ্যমান হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.