--- বিজ্ঞাপন ---

জার্মানির বায়োএনটেকের কাছ থেকে টিকা কিনছে চীন

0

ওমর ফারুক হিমেল, ইউরোপ প্রতিনিধি

চীনের ওষুধ প্রস্তুতকারক একটি কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেকের আবিষ্কার করা করোনা ভাইরাসের টিকার ১০ কোটি ডোজ কিনছে। এ জন্য তারা ৩০ কোটি ডলার অগ্রিম পরিশোধ করবে। চীনের এ কোম্পানিটির নাম সাংহাই ফোসুন ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ কোম্পানি। চীনও বেশ কয়েকটি টিকা তৈরি করছে। কিন্তু তা দিয়ে দেশটির সব মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য তার সঙ্গে বিদেশের টিকাও ব্যবহার করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল এ দেশটিতে। অনলাইন ব্লুমবার্গ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, চীনে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য মার্চে বায়োএনটেকের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে চীন।
সাংহাই ফোসুন ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ কোম্পানি এরই মধ্যে বুধবার হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তাদের স্টেটমেন্ট বা বিবরণী জমা দিয়েছে। তাতে ফোসুন বলেছে, জার্মানির কোম্পানি বায়োএনটেক ২০২১ সালের শেষ নাগাদ চীনকে কমপক্ষে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ দেবে। মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এই টিকা তৈরি করেছে বায়োএনটেক। কিন্তু চীনের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ফাইজারকে জড়িত করা হয়নি। ওদিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ কোম্পানি এবং সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড সহ চীনের ভিতরে কিছু প্রতিষ্ঠান পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করছে করোনা ভাইরাসের টিকা। এগুলো চীনের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার কাছাকাছি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে সেখানে তৈরি হবে ১৬০ কোটি ডোজ টিকা। চীনে তৈরি করা টিকাও প্রতিজনকে দুটি করে ডোজ নিতে হবে। তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রত্যায় ঘোষণা করেছেন যে, যেকোনো সফল টিকা উন্নয়নশীল বিশ্বের আওতায় থাকবে। এর ফলে নিজ দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সঙ্কট সৃষ্টি হবে। ফলে সেই ঘাটতি পূরণ করতে বাড়তি সরবরাহের প্রয়োজন।

অন্যদিকে চীনের স্থানীয় অংশীদারদের মাধ্যমে সেখানে টিকা পৌঁছে দিতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এস্ট্রাজেনেকা। শুরু থেকেই টিকা তৈরির কাজ করছে ক্যানসিনো বায়োলজিকস ইনকরপোরেশন, চোংকিং জিফেই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস কোম্পানি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা পথ পরিষ্কার করে দিলে তাদের টিকাও যোগ হবে আভ্যন্তরীণ চাহিদায়। এখন পর্যন্ত ফাইজার-বায়োএনটেক বলেছে, তাদের টিকা শতকরা ৯৫ ভাগ কার্যকর। কিন্তু চীনে প্রস্তুতকারকদের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের টিকার কার্যকারিতার ডাটা প্রকাশ করেনি এখন পর্যন্ত। অন্যদিকে ফাইজারের টিকা এরই মধ্যে বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সৌদি আরব সহ বিভিন্ন স্থানে অনুমোদন পেয়েছে। প্রয়োগও হচ্ছে তা। ফলে বিদেশে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষে এবং চীনে স্থানীয়ভাবে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা চলাকালীন ফাইজারের টিকা অনুমোদন দেয়ার জন্য চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনাপত্তি দাবি করছে ফোসুন। সূত্র:ব্লুমবার্গ

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.