--- বিজ্ঞাপন ---

বৃটেনে নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক

0

দীর্ঘসময় ধরে মারাত্মক রুপ ধারন করে বিশ্ব জুড়ে রাজত্ব করছে ভাইরাসটি। তবে এই ভাইরাসটি সম্পূর্ন রুপে নতুন হওয়ায় বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গবেষকদেরও এই ভাইরাস সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা। তবে আপ্রান ভাবে কাজ করছে গবেষকরা। এরই মধ্যে নতুন ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের দেখা মিলেছে ব্রিটেনে। অবশ্যে প্রকাশ্যে উঠে এলো এই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়ার কারন।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে ব্রিটেন। তবে এরইমধ্যে নতুন ধরণের করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশটিতে। ব্রিটেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। জনগণকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রিসমাসে মানুষের মেলামেশায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আসছে ঠিক একই কারণে। কিন্তু মাত্র কয়েক মাস আগেও ইংল্যান্ডে যার কোন অস্তিত্ব ছিল না, কয়েক মাস পরে এসে সেই নতুন একটি ভ্যারিয়ান্ট বা বৈশিষ্ট্য-বিশিষ্ট করোনাভাইরাস কিভাবে এতটা ছড়িয়ে পড়লো?

ব্রিটিশ সরকারের সংক্রমন বিষয়ক উপদেষ্টারাও মোটামুটি নিশ্চিত যে এটা করোনা ভাইরাসের অন্য ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সব কাজই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও অনেক অনিশ্চয়তা এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা রয়েছে।  গবেষকরা বলছেন, নতুন এই করোনা ভাইরাসটি উদ্বেগ ছড়াচ্ছে মূলত ৩ কারণে-এটি ভাইরাসের অন্য সংস্করণগুলোকে প্রতিস্থাপিত করছে,এটির বিভাজন বা রূপান্তর ভাইরাসের কিছু অংশে পরিবর্তন আনে, যা গুরুত্বপূর্ণ,এসব বিভাজনের মধ্যে বেশ কিছু ল্যাবে পরীক্ষার পর দেখা গেছে যে এগুলো মানুষের দেহের কোষকে সংক্রমিত করার ভাইরাসের যে সক্ষমতা তা বাড়ায়। এসব বৈশিষ্ট্য ভাইরাসটিকে সহজে ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা দেয়। এটি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে- যেমন লন্ডনের মতো জায়গা, যেখানে এর আগে পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তরের বিধি-নিষেধ ছিল।

নতুন প্রজাতির এই করোনা ভাইরাসকে ঘিরে বেশ বিপাকে পড়েছে বৃটেন। এমনকি বিশ্ব জুড়ে এই সংবাদ ছড়িয়ে পরার পর থেকেই বৃটেনের সঙ্গে আর্ন্তজাতিক ভাবে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দেশ। এমনকি প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশ কিছু দিনের জন্য বৃটেনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকা বন্ধ রেখেছে। তবে এই ভাইরাস মোকাবিলায় বৃটেন প্রধানমন্ত্রী আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে ৪০টিরও বেশি দেশ যুক্তরাজ্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠকে এর সদস্য দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেনমার্কেও করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ‘রূপ’ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি থেকে বিদেশিদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সুইডেন। করোনা ভাইরাসের নতুন এ ‘স্ট্রেইন’ খুব দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এটি আরও মারাত্মক কিনা তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। যুক্তরাজ্যে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা দেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইমার্জেন্সিস চিফ মাইক রায়ান বলেছেন, মহামারির মধ্যে ভাইরাসটির বিবর্তন সাধারণ ব্যাপার এবং এটি একেবারেই ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়’। এর আগে গত রোববার(২০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছিলেন, ভাইরাসের নতুন রূপটি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক একটি রূপটি পাওয়া গেছে। তবে এটি যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের ভাইরাসটির মতো নয়।

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.