--- বিজ্ঞাপন ---

জঙ্গী ওমর শেখকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিল পাকিস্তান হাইকোর্ট

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন শেখ

0

::আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::

ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা সন্ত্রাসবাদী ওমর সৈয়দ শেখকে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে বলল পাকিস্তান কোর্ট। ১৯৯৯ সালে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান হাইজ্যাকের সময় যাত্রীদের ছাড়াতে শেখ সহ তিন সন্ত্রাসবাদীকে ছেড়ে দেয় ভারত। তাকে এবার জেল থেকে মুক্ত করতে বলল সিন্ধ হাইকোর্ট।ভারতীয় গণমাধ্যম এটাকে বিচারের নামে প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছে!

আদালত জানিয়েছে,সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় ধৃত ওমরকে মুক্ত করতে হবে। তবে তারা যাতে পাকিস্তান ছাড়তে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। এদিন বিচারক বলেন যে এরা কোনও অপরাধ না করেই জেলে পচছে ১৮ বছর ধরে! এর আগে এপ্রিলেই আদালতের রায়ে মুক্ত হয়ে গিয়েছিল ওমর শেখ সহ চার সন্ত্রাসবাদী। আদালত বলে যে ওমর শেখ হত্যায় যুক্ত ছিল না, শুধু অপরহণ করেছিল যার সাত বছরের সাজা ইতিমধ্যেই সে খেটে ফেলেছে। তবে পাক সরকার আরও ৯০ দিনের জন্য এদের আটকে রাখার নির্দেশ দেয়। তিন মাস বাদে ফের সেই নির্দেশ পুনরায় দেয় সরকার। কিন্তু এবার আদালত থেকে মুক্তির পথ পেল এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা। পাক সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় সেটাই দেখার।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে করাচি থেকে ২০০২ সালে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়। ওমর শেখ, মাসুদ আজহার ও মুস্তাক আহমেদ জারগারকে ১৯৯৯ সালে ছেড়ে দেয় ভারতীয় সরকার আইসি-৮১৪ প্লেনে থাকা যাত্রীদের প্রাণের বিনিময়।

গণমাধ্যম বর্তমান লিখেছে, বিচারের নামে প্রহসন।মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল খুনে সাজাপ্রাপ্ত আল কায়েদা নেতা আহমেদ ওমর সইদ শেখকে মুক্তির নির্দেশ দিল পাকিস্তানের একটি আদালত। মুক্তি দিতে বলা হয়েছে, কান্দাহার কাণ্ডে ভারতের জেল থেকে মুক্ত ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই আল কায়েদা নেতার তিন সঙ্গীরও। পাকিস্তানে থাকাকালীন মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে ২০০২ সালে প্রথমে অপহরণ ও পরে গলা কেটে খুন করা হয়।
পার্ল হত্যা মামলায় ওমর ও তার সঙ্গীদের মুক্তির নির্দেশ জারি করেছে সিন্ধ হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওমর ও বাকি অভিযুক্তদের কোনওভাবেই আটক করে রাখা যাবে না। সিন্ধের প্রাদেশিক সরকার তাদের আটক রাখার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সেটিকে ‘অবৈধ’ বলে বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এর আগে এপ্রিল মাসে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওমরের ফাঁসির সাজা কমিয়ে সাত বছরের কারাদণ্ড করে দেয়। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবনের সাজা খারিজ করে মুক্তির নির্দেশও দেয় আদালত। যদিও আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে তাদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করে সিন্ধের প্রাদেশিক সরকার। এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই ওমর ও তার তিন সঙ্গীকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ছিনতাই হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। পণবন্দি যাত্রীদের প্রাণ রক্ষায় জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের সঙ্গেই ভারতের জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিল ওমর।
এদিকে, জঙ্গিদের অর্থ সহায়তা সংক্রান্ত আর একটি মামলায় জামাত-উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদকে সাড়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি পাকিস্তানি মুদ্রায় তার দু’লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। লাহোরের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই সাজার কথা ঘোষণা করে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.