::আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
তুরস্কের বিলেজিক প্রদেশের সওত পৌরসভায় সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত স্বর্নের বাজার মূল্য ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশী। প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই স্বর্ন দুই বছরের মধ্যে উত্তেলন করে তুর্কি অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে চায় তুরস্ক সরকার।
এরতুরুল গাজীর প্রথম রাজধানী
ঐতিহাসিকভাবে সওত শহরটি এরতুরুল গাজীর ছেলে সুলতান ওসমানের প্রথম রাজধানী। এখান থেকেই যাত্রা শুরু করে মহান ওসমানী সালতানাতের। সাম্রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধির সাথে সাথে রাজধানী বুরসা, এদিরনে হয়ে ইস্তাম্বুলে চলে যায়। কিন্তু সওতের ঐতিহাসিক মূল্য সবসময় ছিল। সুলতানের বডিগার্ড বাহিনীর সদস্য সংগ্রহ করা হতো সওতের বিশ্বস্ত গোত্রগুলো থেকে।
তেলের খনির বঞ্চনা
বিশাল ওসমানী সাম্রাজ্যে তেলের খনির সন্ধান পেয়েছিলেন সুলতান আবদুল হামিদ। এই তেল দিয়ে উম্মাহর কল্যানে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু জায়োনিষ্ট পরিকল্পনায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইয়াং তুর্ক নামক গুপ্ত সংস্থা। ১০ বছরের ব্যবধানে ১ম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ-ফরাসিরা টুকরো টুকরো করে ওসমানী খিলাফাতকে। সৃষ্টি করে অনেকগুলো তাবেদার রাজবংশ।
নতুন তুর্কি রিপাবলিকের মানচিত্র এমনভাবে আকা হয় যাতে একটি তেলের খনির সুবিধাও না পায় তুরস্ক। এমনকি তুর্কমেন অধ্যুষিত কিরকুক দিয়ে দেয়া হয় ইরাককে, মসুল সিরিয়াকে।
আরবদের মাথায় বন্দুক রেখে ওসমানী তেলে ফুলে ফেপে ওঠে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম। গত ১০০ বছর তেল থেকে বঞ্চিত হয়ে ধীর গতিতে এগিয়েছে তুর্কি অর্থনীতি।
গ্যাসের খনি, সোনার খনি ও নব্য ওসমানীদের উত্থান
গত ১০ বছরে তুর্কী অর্থনীতি যেমন তিনগুন বড় হয়েছে, তেমনি বেড়েছে রপ্তানি। একসময়ের ইউরোপের রুগ্ন পুরুষ ওসমানীরা আবার কথা বলছে বিশ্বরাজনীতি নিয়ে। বিশ্বরাজনীতিতে তুরস্কে উত্থান ঠেকাতে অর্থনৈতিক অবরোধের ছক কষছে পশ্চিমা বিশ্ব। তুরস্ককে তার বাড়ির সামনে ভূমধ্যসাগরের গ্যাস থেকে বঞ্চিত করতে চলছে নানা ষড়যন্ত্র।ইতিমধ্যে কৃষ্ণসাগরে গ্যাসের খনি আশা সঞ্চার করেছে। স্বর্নের খনির আবিষ্কার অবরোধের মুখে পড়া তুর্কি অর্থনীতির জন্য আল্লাহ পক্ষ থেকে যেন অকল্পনীয় সাহায্য। ##লেখক: জাহিদুল ইসলাম। পি এইচডি গবেষক, খোজায়েলী ইউনিভার্সিটি, তুরস্ক।