--- বিজ্ঞাপন ---

বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে, বললেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

চসিক প্রশাসক সুজনের কাজের প্রশংসা

0

::নিউজ ডেস্ক::

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর না থাকলে বাংলাদেশের ভাগ্য এত ভালো হতো না। চট্টগ্রাম বন্দর যদি না থাকতো, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশাটা একেবারে অসম্ভব ছিল। চট্টগ্রামের মিরশরাইতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক জোন। যেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ প্রকল্পের জন্য হালদা হতে স্বল্প পানি তোলা হবে। অথচ এটা নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভ্রান্ত ধারনার কারনে যদি উন্নয়ন ব্যাহত তাহলে তার দায় সবাইকে বহন করতে হবে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রেডিসন ব্লু মেজবান হলে চীন সরকার হতে অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত এলইডি বাল্ব বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখছেন, এখন তা বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা। আমি তার সহকর্মী হিসাবে আছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাদ্যের অনেক উন্নতি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে ৪১ সালে উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
চট্টগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী খোরশেদ আলম সুজনকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়ার পর চট্টগ্রামের রূপ কয়েক মাসে অনেক পাল্টে গেছে। তিনি বলেন, সততা ও আন্তরিকতা থাকলে যে কোন কাজ সহজেই করা যায়। সবাইকে খোলা মনে এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে অনেক নালা নর্দমা খাল বিল আছে, এগুলো পরিস্কার না করলো হবে না, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন,ওয়াকওয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে, তাহলে মানুষ শ্বাস নিতে পারবে। বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখার সুযোগ নাই। চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনমিক জোন হচ্ছে, এতে ৩০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। আর এটা কার্যকরী করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তত হতে হবে। সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। হালদা নদী হতে এ অঞ্চলের জন্য অল্প পরিমান পানি তোলা হবে। যে পরিমান পানি তোলা তাতে হালদা জীববৈচিত্র্য বা মাছের ক্ষতি হবে এটা একটা ভ্রান্ত ধারনা। হালদার মাছের প্রজনন হয় তিন মাসে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন ভ্রান্ত ধারনার কারণে যদি উন্নয়ন ব্যহত হয় তাহলে তার দায় সবাইকে বহন করতে হবে। এখানে বিলিয়ন ডলার ইনকাম করার সুযোগ আছে। তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ভুল বুঝাবুঝি করলে কিচ্ছু হবে না। রামপল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও অনেক ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তিনি বলেন, সমুদ্র সীমা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করেছেন। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সমুদ্র সীমা নিয়ে কাজ করেছেন, এরপর কোন সরকার কাজ করেনি। এরপর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে সমুদ্র সীমার জন্য অঅবারও প্রক্রিয়া শুরু করেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কারণে সমুদ্র সীমার জয় হয়েছে। আমাদের ভৌগোলিক সীমানা নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল। ছিটমহল সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ভারত থেকে আমরা ১০ গুন বেশি জায়গা পেয়েছি ছিট মহলে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে, তার জন্য কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে ১৩ লাখ এলইডি বাল্ব বিতরণ করেছে। আমরা চীন সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা চাই সারা বাংলাদেশ একইভাবে আলোকিত হোক। আমি চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, নোয়াখালী সব জায়গাকে সমান মূল্যায়ন করি। চট্টগ্রামের জন্য যে বাল্ব তার আমি চট্টগ্রামে এসেই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম। এখান থেকেই সারাদেশে ডিস্ট্রিবিশন লিস্ট অনুযায়ী বাল্ব যাবে উপজেলাগুলোতে। সভাপতির বক্তব্য স্থানীয় সরকারের বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, মন্ত্রী মহোদয় সব সময় চট্টগ্রামের উন্নয়নের আন্তরিক। তিনি চিন্তা চেতনায় চট্টগ্রামকে ধারণ করেন। চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা আছে। ইতিমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল খননসহ বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব সাকিলা ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান অংশগ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে বাল্বের প্যাকেট তুলে দেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.