--- বিজ্ঞাপন ---

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসায় মালয়েশিয়ার সিনিয়র মন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে এক উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মালয়েশিয়ায় সদ্যনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারওয়ার ও মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত সিনিয়র মন্ত্রী দাতু সেরি মোহাম্মদ আজমিন আলী’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারওয়ার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর নিকট বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগ দ্রুত প্রসার লাভ করছে। তিনি বলেন যে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরী পোশাক, সিরামিকস, ফুট ওয়্যার, ফার্মাসিউটিক্যালস এর সুখ্যাতি বিশ্বজুড়ে। তিনি পণ্যমূল্য ও গুনগত মান বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে অধিক পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারওয়ার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার গৃহীত নানা কর্মসূচী বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি সরকারী উদ্যোগে বাস্তবায়িত সমগ্র বাংলাদেশে ১০০ ইকনোমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি মালয়েশয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ভারত, জাপান, চীন, ও দক্ষিণ কোরিয়ার মত মালয়েশিয়াকেও বাংলাদেশে একটি বিশেষ ইকনোমিক জোন স্থাপনের অনুরোধ জানান।
দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে বাংলাদেশের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারওয়ার মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রীকে এফটিএ নেগোসিয়েশন শুরু করার অনুরোধ করলে মালয়েশীয় মন্ত্রী নেগোসিয়েশন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) মোঃ রাজিবুল আহসান এবং মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল ও অন্যান্য উধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পূর্বাহ্নে হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারওয়ার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ আজহার মাজলিন এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে অবৈধ বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ সংক্রান্ত চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম, কোভিডের কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরত আসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়শিয়ার অব্যাহত সমর্থন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.