--- বিজ্ঞাপন ---

দক্ষিণ কোরিয়ায় দূতাবাসের উদ্যোগে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

0

বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ কোরিয়া

সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালন করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এ দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করতে দূতাবাস একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের পূর্বে, এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।

অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ কোরিয়ায় অধ্যাপনারত বাংলাদেশের দুই জন সহকারী অধ্যাপক যথাক্রমে- Ghent University Global Campus-এর সহকারী অধ্যাপক জনাব কেশব কুমার অধিকারী, পিএইচডি ও Kyungdong University Global Campus –এর সহকারী অধ্যাপক জনাব নুর আলম, পিএইচডি।

মুখ্য আলোচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত, তাঁর আলোচনায় জাতির পিতার কালানুক্রমিক ইতিহাস, জাতির পিতার পাকিস্তান কারাগারে থাকাকালীন সময়ের বর্ণনা এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া তিনি জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়কালীন নিজের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার কথাও আলোচনায় তুলে ধরেন।

আলোচক জনাব কেশব কুমার অধিকারী, পিএইচডি তাঁর আলোচনায় উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতা নিজের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করা এবং জাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে শিক্ষা ও জাতির বিশেষত তরুন প্রজন্মের একাগ্র আগ্রহ-উদ্দীপনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

আলোচক জনাব নুর আলম, পিএইচডি জাতীয় জীবনে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তাঁর আলোচনায় উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি ও সেইসাথে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট আলোচনার পাশাপাশি সেসময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে জাতির পিতার সক্রিয় ভূমিকার কথা আলোচনায় উল্লেখ করেন। অতঃপর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা যথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানব উন্নয়ন সূচক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে অনস্থানরত বাংলাদেশীদের একাগ্রচিত্তে কাজ করার আহবান জানান।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.