--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতের সামরিক হাইপারসনিক ওয়েপন্স

0

ভারতের সামরিক প্রযুক্তি গবেষণামুলক প্রতিষ্ঠান ডিফেন্স রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি হাইপারসনিক ওয়েপন্স Hypersonic Technology Demonstrator Vehicle (HTDV) এর বেশকিছু সফল গবেষণামুলক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। মুলত এইচটিডিভি ফ্লাইট প্রজেক্টে গ্লাইড ভ্যাসেলে ডিআরডিও তাদের স্ক্র্যাম জেট প্রপালশান টেকনোলজি ইউজ করেছে।

এর ফলে এটি মাত্র ২০ সেকেন্ড অবিশ্বাস্যভাবে ৩২ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে সক্ষম হয় এবং গতির হিসেবে তা কিন্তু প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৫,৭৬০ কিলোমিটার বা ম্যাক ৫ এর কাছাকাছি। উচ্চতা এবং তাপমাত্রা ভেদে ম্যাক গতির তারতম্য হলেও গড়ে ১৩.৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রতি ঘন্টায় ১,২২৫ কিলোমিটার গতিকে আদর্শ মান ম্যাক ১ গতি ধরা হয়। যা কিনা সকল যুদ্ধবিমান এবং মিসাইলের উপর কমনভাবে প্রযোজ্য। যদিও আমাদের আশপাশের স্বাভাবিক ৩০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় যুদ্ধবিমান বা মিসাইল ম্যাক ১ গতিতে উড্ডয়ন করে তবে সেটা হবে প্রতি ঘন্টায় ১,২৬০ কিলোমিটার গতির সমতুল্য।

যা হোক, হাইপারসনিক ওয়েপন্স টেকনোলজি গবেষণা ও সক্ষমতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পাশাপাশি ইউরোপীয় অনেক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশকে পেছনে ফেলে ভারতের নাম কিন্তু চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। তবে উচ্চ প্রযুক্তির হাইপারসনিক মিসাইল নিয়ে গবেষোণারত সকল দেশই কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক এবং উন্নয়নের স্তরেই রয়েছে। তবে রাশিয়ার ভাষ্যমতে, তাদের আপকামিং কেএইচ-৪৭এম২ এয়ার লাউঞ্চ ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষামুলক উড্ডয়নে ম্যাক ১০ বা ১২,৪২৮.৬৪ কিলোমিটারে পৌছে। এদিকে চীন তার ম্যাক ৫ গতির ডিএফ-১৭ হাইপারসনিক গ্লাইড ভ্যাসেল প্রকাশ্যে আনলেও এই সক্ষমতা নিয়ে বিষদ কোন তথ্য প্রকাশ করেনি।এখানে প্রকাশ থাকে যে, ১৯০৩ সালে মানব জাতির ইতিহাসে প্রথম বারের মতো মাত্র ৭০ কিলোমিটার গতি নিয়ে আকাশ জয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা আজ ২০২১ সালে এসে ১১৮ বছর পর অবিশ্বাস্যভাবে ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭,০০০ কিলোমিটারে পৌঁছে গেছে। আর আগামী ২১২০ সালে উন্নত দেশগুলো হয়ত প্রযুক্তিগত ভাবে এতটাই এডভান্স হয়ে যাবে যে, সে সময় একটি সাধারণ বুলেট ট্রেনের গতি হবে ১০০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা কিংবা একটি জেট ফাইটারের গতি নুন্যতম ৬ হাজার কিলোমিটার বা সুপার স্পিড হাইপারসনিক মিসাইলের প্রতি ঘন্টায় গতি ১২-১৫ হাজার কিলোমিটার একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হবে। তার পাশাপাশি হাইলি এডভান্স রকেট ইঞ্জিনের তৈরি স্পেসশীপে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে কিছু সংখ্যক নভোচারী নিয়ে মঙ্গলগ্রহে মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.