--- বিজ্ঞাপন ---

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কোরিয়া

0

মাহাবুব আবদুল্লা, দক্ষিণ কোরিয়া

দীর্ঘায়িত করোনভাইরাস মহামারী দ্বারা বর্ধিত শ্রম ঘাটতি মোকাবেলায় দক্ষিণ কোরিয়া অস্থায়ীভাবে কৃষি ও মৎস্য খাতে বিদেশী মৌসুমী কর্মীদের কর্মসংস্থানের নিয়ম সহজ করবে। কোরিয়ার বিচার বিভাগ সোমবার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়। করোনা পরবর্তি কোরিয়াতে শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। কোরিয়ার উর্ধতন মহলও এ বিষয়ে জানেন।

সূত্র জানায়, অস্থায়ী নিয়মকেন্দ্রিক ব্যবস্থার আওতায় বিদেশী যেসব কর্মী ভিসা ছাড়াই এখানে অবস্থান করছেন বা কোভিড -১৯ এর কারণে যে সব বেশি বয়স্ক দেশে ফিরতে পারছেন না তাদের স্থানীয় কৃষিকাজ এবং ফিশিং গ্রামগুলিতে ১৩ মাস পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। কোরিয়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, যে অস্থায়ী মৌসুমী কর্মসূচিটি এফ -১ সহ দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত এবং পারিবারিক ভিসা বা এফ -৩ পরিবারের নির্ভরশীলযারা এবং এইচ -২ দিয়ে এখানে প্রবেশকারী অতিরিক্ত কর্মীসহ  বিদেশিরা ্প্য়োএ সুযোগ পাবে। ওয়ার্কিং ভিজিট ভিসা বা ই -৯ নন-পেশাদার কর্মসংস্থান ভিসা এর আওতায় থাকবে।

সে অনুযায়ী স্থানীয় সরকার কর্তৃক নির্বাচিত এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনও যোগ্য বিদেশী নাগরিক আগামী বছরের ২ মার্চ থেকে আগামী বছরের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমী কৃষিকাজ ও মাছ ধরার কাজে অংশ নিতে পারবেন বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করেছে যে স্থানীয় কৃষিকাজ এবং মৎস্য খাতে শ্রম ঘাটতির মধ্যে দীর্ঘায়িত করোনভাইরাস মহামারীর কারণে মৌসুমী বিদেশী কর্মীদের কোরিয়ায় প্রবেশ করা যে পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণহীন নীতি চালু করা হয়েছে।

এদিকে, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা দেশব্যাপী তিনটি স্থানীয় সরকারের অনুরোধে ৪ ফেব্রুয়ারি বিদেশি মৌসুমী কর্মীদের একটি তালিকা নিশ্চিত করেছে।

বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এটি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশ আসিয়ানভুক্ত নয়। বাংলাদেশের কর্মীরা এ খাতে কাজ করেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।’

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.