--- বিজ্ঞাপন ---

ভিয়েতনাম মিশনে পালিত হলো মুজিব বর্ষ

ভিয়েতনামি ভাষায় ৭মার্চের ভাষন

0

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভিয়েতনাম মিশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উদযাপন করেছে।  একই সাথে  দিবসের সম্মানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিয়েতনামি ভাষায় অনুবাদ সম্বলিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

দূতাবাস সূত্র জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরর হমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশুদিবস ১৭ মার্চ ২০২১ বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনামে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে। জাতীয় সংঙ্গীত সহকারে এ উপলক্ষ্য রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভিয়েতনামের জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিংকমিটির সদস্য মান্যবর মিজলি থু হাউপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত গন্যমান্য অতিথিদের মধ্যে ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা, ভারত ও শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত, ডিপ্লোমেটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, ভিয়েতনাম টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ও অন্যান্য মিডিয়া, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীতাদের পরিবারবর্গসহ উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসাবে বিশেষ অতিথি ভিয়েতনাম জাতীয় সংসদের সদস্য  মিজলি থু হা এবং রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চেরঐতিহাসিকভাষণ-ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার”-এর “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য”-এর ভিয়েতনামি ভাষায় অনুবাদ সম্বলিত একটি পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন । তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তাঁর পূর্ববর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমগ্র জাতি এক সূত্রে গ্রোথিত হয়েছিল এবং যার ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নন-তিনি বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। রাষ্ট্রদূত বলেন,  বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ শিশুদের মাঝে উদীপ্ত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেমের কাছে তাঁর ’সোনারবাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়নের বার্তা পৌঁছানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ “সোনারবাংলা”-য় রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আগত বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণ ভিয়েতনামি অনুবাদ প্রকাশ হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেন এবং সেই সাথে রাষ্ট্রদূত এবং দূতবাসের সকলকর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ ধন্যবাদ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ভিয়েতনামের জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিংকমিটির সদস্য মিজলি থু হা রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ এবং ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-এর ভিয়েতনামি ভাষায় অনুবাদ সম্বলিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.